সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনায় (Coronavirus) আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত বাংলাদেশের প্রখ্যাত গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগির (Fakir Alamgir)। রাজধানী ঢাকার (Dhaka) ইউনাইটেড হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৭১ বছরের শিল্পী।
জানা গিয়েছে, ফকির আলমগিরের বাঁ ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। পাশাপাশি রক্তে সংক্রমণ ছিল। এই অবস্থাতেই শুক্রবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন শিল্পী। তার জেরেই প্রাণ হারান। শিল্পীর প্রয়াণের পর শোকবার্তায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Shaikh Hasina) বলেন, “এ দেশের সংগীত জগতে বিশেষ করে গণসংগীতকে জনপ্রিয় করে তুলতে ফকির আলমগিরের ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।” আলমগিরের আত্মার শান্তি কামনা করে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে টানাপোড়েন, বাংলাদেশকে দ্রুত ভ্যাকসিন জোগানের আশ্বাস ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের]
গণসংগীতশিল্পীর প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন আওয়ামি লিগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথা বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ডা. হাছান মাহমুদও। নিজের শোকবার্তায় তিনি জানান, ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর হয়ে ১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থানে, মহান মুক্তিযুদ্ধে কণ্ঠযোদ্ধা হিসেবে এবং নয়ের দশকের স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনে অসামান্য ভূমিকা ছিল ফকির আলমগিরের।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের কালামৃধা গোবিন্দ হাইস্কুল থেকে ১৯৬৬ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জগন্নাথ কলেজে ভরতি হয়েছিলেন ফকির আলমগির। সেখান থেকে স্নাতক পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় MA পাশ করেন। তার গাওয়া ‘সান্তাহার জংশনে দেখা’, ‘বনমালী তুমি’, ‘কালো কালো মানুষের দেশে’, ‘মায়ের একধার দুধের দাম’, ‘আহারে কাল্লু মাতব্বর’, ‘ও জুলেখা’-সহ বেশ কিছু গান দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। ‘ও সখিনা’ গানটি এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। ১৯৮২ সালের বিটিভির ‘আনন্দমেলা’ অনুষ্ঠানে গানটি প্রচারের পর দর্শকের মধ্যে সাড়া ফেলে। কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি গানটির সুরও করেছেন ফকির আলমগির।