সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঁচ বিকল্প। তালিকায় ছিল ‘বন্ধু’ পাকিস্তান এবং চিনও। কিন্তু তা-ও ভরসা সেই দিল্লিই। আগামী বছর ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারত থেকে মোট ১৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানি করবে বাংলাদেশ। সম্প্রতি বাংলাদেশের ৫০ জন আমদানিকারককে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছেন সেদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস।
বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম আকাশ ছোঁয়া। কোথাও কোথাও দাম পৌঁছে গিয়েছে প্রতি কেজি ১৫০ টাকায়। এর জেরে নাভিশ্বাস উঠেছে আমজনতার। তাই জনগণের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা। তবে ভারত থেকে সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এই ভাবে আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারত থেকে মোট ১৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানি করবে ঢাকা। কয়েকবছর আগে বাংলাদেশ বাণিজ্য ও শুল্ক কমিশন (বিটিটিসি) পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে ভারতের উপর নির্ভরশীলতা কমানোর পরামর্শ দিয়েছিল। তখনই পাঁচ বিকল্প দেশের নাম উঠে আসে। সেগুলি হল - পাকিস্তান, চিন, মায়ানমার, তুরস্ক এবং মিশর। তবে চিন, তুরস্ক এবং মায়ানমার থেকে বাংলাদেশ পেঁয়াজ আমদানি করলেও, তার পরিমাণ খবুই সামান্য। এই পরিস্থিতিতে পেঁয়াজ আমদানিতে সেই দিল্লির উপরই ভরসা রাখতে হল ঢাকাকে।
ভারত থেকে যে পরিমাণ পেঁয়াজ বিদেশে রপ্তানি করা হয়, তার সিংহভাগই যায় বাংলাদেশে। তবে ঢাকা আমদানি কমিয়ে দেওয়ায়, ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানিও আগের থেকে কমে গিয়েছে। শেষ বার ৩০ আগস্ট ভারতের পেঁয়াজ বাংলাদেশে গিয়েছিল। তবে শোনা যাচ্ছে, বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজ সংকট কিছুটা কমলেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি ফের বন্ধ করে দেবে ঢাকা। অন্যদিকে, পেঁয়াজ আমদানিতে ছাড়পত্র মেলার পর বাংলাদেশের বাজারে কিছুটা সস্তা হয়েছে পেঁয়াজের দাম। তবে সেদেশের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের মতে, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে ৩০ টনের যে সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা বাড়ানো প্রয়োজন।
