সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে শেখ হাসিনাকে। তারপর থেকেই দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। সোমবার রাতেই সংঘর্ষে অন্তত দু'জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বিক্ষোভকারীদের আক্রমণে জখম হয়েছেন পুলিশকর্মীরাও। ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ধ্বংস করতেও উদ্যত বিক্ষোভকারীরা। সব মিলিয়ে হাসিনার বিরুদ্ধে রায়দান ঘিরে বাংলাদেশে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা।
সোমবার শুনানি শেষে আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালের আইনে দোষী সাব্যস্ত হন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং প্রাক্তন পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাঁদের। এক, উসকানি দেওয়া। দুই, হত্যার নির্দেশ এবং তিন, দমনপীড়ন আটকানোর ক্ষেত্রে পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা। এরপরই হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। রায় ঘোষণা হতেই হাততালিতে ফেটে পড়ে আদালতকক্ষ।
হাসিনার রায়দান ঘিরে গোটা বাংলাদেশে কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছিল। বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্র গুলি চালানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল পুলিশকে। তা সত্ত্বেও পথে নেমেছে উন্মত্ত জনতা। সোমবার রাত থেকেই থানা লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে, ছোড়া হয়েছে ককটেল বোমা। আহত হয়েছেন অন্তত তিনজন পুলিশকর্মী। অন্যদিকে ঢাকার একাধিক প্রধান সড়কে নেমে প্রতিবাদে শামিল হন কাতারে কাতারে মানুষ। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে পুলিশ।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে দু'দিনের জন্য দেশব্যাপী শাটডাউনের ডাক দিয়েছে আওয়ামি লিগ। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। সূত্রের খবর, বিক্ষোভের মধ্যে ঢাকা এবং বরিশালে ২জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা দু'জনেই ছাত্র সংঘর্ষের বলি। যদিও সরকারিভাবে এই নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে জানা গিয়েছে তাঁরা দু'জনেই বিএনপি ছাত্রনেতা। অন্যদিকে, বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ধ্বংস করতে ওই এলাকায় ব্যাপক জমায়েত হয়েছে। সেখানে বিক্ষোভকারীদের আটকে রাখার চেষ্টা চলছে। মোতায়েন হয়েছে সেনাও।
