সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার ৫৪তম বিজয় দিবসে জাতীর উদ্দেশে ভাষণ দিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মহম্মদ ইউনুস। বিশেষ এই দিনেও বাংলাদেশ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মোছার চেষ্টায় মেতে রইলেন নোবলেজয়ী। এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সমাজমাধ্যমে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান। শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন একাত্তরের যুদ্ধে পাক বাহিনীকে নাস্তানাবুদ করা ভারতীয় জওয়ানদের। কিন্তু অন্যদিকে, জাতীর উদ্দেশে ভাষণে ভারতের অবদানতো দূর, ভারত শব্দটিও মুখে নিলেন না ‘অকৃতজ্ঞ’ ইউনুস। শুধু তাই নয়, ভাষণে আওয়ামি লিগকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি তিনি।
বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান বলেন, “পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি দেশের মাটিতে কোনওদিন ফিরতে পারবে না। সন্ত্রাসবাদীদের অপচেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হবে। ভয় দেখিয়ে, সন্ত্রাস ঘটিয়ে বা রক্ত ঝরিয়ে এদেশের অগ্রগতি কেউ থামাতে পারবে না।” এরপরই ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রসঙ্গ উথ্থাপন করেন তিনি। বলেন, “অত্যন্ত ব্যথিত হৃদয়ে আমি আজ উপস্থিত হয়েছি। এই আনন্দের দিনে গভীর বেদনার সঙ্গে জানাচ্ছি, জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা তথা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সম্প্রতি যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তা শুধু একজন ব্যক্তির ওপর নয়। এটি গোটা বাংলাদেশের উপর আঘাত। ওসমান বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা সংকটজনক। তাঁর সবরকম সহায্যে জন্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।” তাঁর সংযোজন, “হামলার সঙ্গে জড়িতদের প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা গিয়েছে। দোষীদের রেয়াত করা হবে না। ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসবাদীরা, যারা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।”
এদিন সকালে বাংলাদেশের সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ইউনুস। উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধী এবং পাকিস্তানের বন্ধু জামাতের পরামর্শে চলছে প্রতিবেশী দেশের অন্তর্বর্তী সরকার। যাকে বিজয় দিবসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বলছেন পদ্মাপাড়ের বহু মানুষ। যদিও প্রকাশ্যে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন তাঁরা। আগামী নির্বাচনের পর কি পালটাবে পরিস্থিতি? উত্তর দেবে সময়।
