সুকুমার সরকার, ঢাকা: পদ্মা বহুমুখী সেতু দক্ষিণ এশিয়ার জন্য ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ’। এই সেতু বাংলাদেশের (Bangladesh) অভ্যন্তরে এবং উপ-অঞ্চলের মধ্যে সংযোগ বাড়াবে। শনিবার মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর (Padma Setu) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনই বললেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। বাংলাদেশের বৃহত্তম এই সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান ভারতীয় হাইকমিশনার।
দোরাইস্বামীর কথায়, ‘‘ঐতিহাসিক এই দিনে বাংলাদেশের ভাইবোনদের শুভেচ্ছা, অভিনন্দন এবং শুভকামনা জানাই। এই পদ্মা সেতুর ফলে স্পষ্টতই বাংলাদেশ এবং উপ-অঞ্চলের মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি করবে। আমরাও এটি দেখে খুব আনন্দিত।’’ ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘‘বাংলাদেশ সরকার নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও এই প্রকল্পটি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এই অঞ্চলে আরও অনেক বেশি বাণিজ্য হবে বলে আশা করি। এছাড়া ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে সহজে যোগাযোগ এবং ভ্রমণের সুযোগ দেখতে চাই।’’ দুই বন্ধুরাষ্ট্র বাংলাদেশ ও ভারত আগামীতেও পরস্পরের সঙ্গী হয়ে উন্নয়নের পথ চলবে বলে আশা প্রকাশ করেন দোরাইস্বামী।
[আরও পড়ুন: অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বড় রাস্তার মতো কলকাতার অলিগলিতেও নজরদারি, নির্দেশ পুলিশ কমিশনারের]
অন্যদিকে, পদ্মা সেতু সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কুয়েতের (Quait) বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আদেল মোহাম্মদ এ এইচ হায়াত। রবিবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে আন্তরিক প্রচেষ্টার জন্য প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান। শেখ হাসিনাও পালটা রাষ্ট্রদূতকে বলেন, সরকার বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে চাকরির সুযোগ সৃষ্টি, জমি ও ঘর দেওয়া, যাতে প্রত্যেক নাগরিকের নিজস্ব ঘর থাকে। পদ্মা সেতু তৈরির পর কুয়েত সরকার বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারে বলেও আশাপ্রকাশ করেন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)।
[আরও পড়ুন: চূড়ান্ত ‘ফ্লপ’ এলআইসির IPO! বাজার থেকে উধাও প্রায় ১৫ লক্ষ কোটি টাকা]
আজ থেকেই শুরু হল পদ্মা সেতুতে যান চলাচল। ভোর ৬টা থেকে মোটরবাইক-সহ একাধিক গাড়ি টোলট্যাক্স (Toll Tax) দিয়ে সেতু পারাপার হয়েছে। মাত্র ৬ মিনিটেই গোটা সেতুটি পেরিয়ে যেতে পেরেছেন বলে জানান প্রথম মোটরবাইক আরোহী সাইফুল। উৎসাহের জেরে প্রথম দিনই ব্যাপক যানজট হয় পদ্মা সেতুতে। পরে অবশ্য ট্রাফিক রাস্তা পরিষ্কার করে দেয়।