সুকুমার সরকার, ঢাকা: মায়ানমার সংলগ্ন বাংলাদেশের জেলা কক্সবাজারে অবস্থান ১৩ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ভারে ভারাক্রান্ত সমুদ্রঘেঁষা জেলাটি। কবে তারা দেশে ফিরতে পারবে তা অনিশ্চিত। আর এহেন পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাঙ্কের সহায়তায় রোহিঙ্গাদের জন্য স্থায়ী পরিকাঠামো তৈরি করবে বাংলাদেশ সরকার।
সম্প্রতি এই সংক্রান্ত এক প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে ইউনুস সরকার। জানা গিয়েছে, সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক উপদেষ্টাদের একটি বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাঙ্কের সঙ্গেই বাংলাদেশ প্রশাসনও নির্মাণখরচ বহন করবে।
কিন্তু কেন রোহিঙ্গাদের ফেরানোর ব্যবস্থা না করে কক্সবাজারে এই পরিকাঠামো তৈরি করা হবে? এপ্রসঙ্গেও এদিন মুখ খুলেছেন উপদেষ্টা। রোহিঙ্গাদের ‘রিফিউজি’ উল্লেখ করা এক প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় তাঁকে বলতে শোনা যায়, ''ফোর্সডলি ডিসপ্লেসড রোহিঙ্গা। আমরা ওদের সময়মতো ফেরত পাঠাব। কিন্তু তাদের এমন মানবেতর জীবন কাম্য নয়। আর সেই কারণেই তৈরি করা হচ্ছে এই পরিকাঠামো।'' তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু তিনি বলতে চাননি।
এদিকে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে শরণার্থী কমিশন ও ব্র্যাকের সহায়তায় সিজিএ আয়োজিত কনফারেন্সে এই বিষয়ে আলোচনা হয়। বক্তারা বলছেন, রোহিঙ্গা সংকট কেবল মানবিক নয়, এটি ন্যায়বিচার ও বৈশ্বিক জবাবদিহিতার প্রশ্ন। উল্লেখ্য, কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গারা নানাভাবে নির্যাতিত। তাদের লোভ দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে বিদেশে পাচার করা হয়। বিশেষত তরুণী ও যুবতীদের। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কয়েকদিন আগে টেকনাফের বাহারছড়া জুম্মাপাড়া সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকা থেকে পাচারের জন্য বন্দি করে রাখা নারী ও শিশু-সহ ২৫ জনকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী।
