সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানবতা-বিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। মহম্মদ ইউনুসের ‘ক্যাঙারু আদালতের’ সেই রায়ের নিন্দায় ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশন। ক্ষোভে ফেটে পড়েছে আওয়ামি লিগও। এবার কি তাহলে গৃহযুদ্ধ বাঁধবে বাংলাদেশে? হাসিনা-ঘনিষ্ঠ আওয়ামি লিগ নেতা মহিবুল হাসান চৌধুরীর কথায় বাড়ছে আশঙ্কা।
মহিবুল বলেন, “এটা সাজানো নাটক ছিল। ওরা জানত এই রায় কার্যকর হবে না। তাই ওদের কিছু একটা রায় দিতেই হত। আগে থেকেই এই রায় লেখা হয়ে গিয়েছিল। গত একমাস ধরে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। এই আদালত সম্পূর্ণ অসাংবিধানিকভাবে গঠন করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের আইন সংশোধন করার কোনও আইনি ক্ষমতা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। ক্যাঙারু আদালতে এই বিচার হয়েছে।” তাঁর দাবি, বাংলাদেশে জনগণের সমর্থন রয়েছে হাসিনা এবং আওয়ামি লিগের উপর। তিনি জানান, ইউনুসের শাসনে বাংলাদেশ গৃহযুদ্ধের পথে হাঁটছে। তিনি আরও বলেন, "আইনি লড়াইয়ে আমাদের পছন্দের আইনজীবীদের নিয়োগ করার অনুমতি ছিল না। তারা আমাদের পলাতক হিসাবে ঘোষণা করেছে। ঢাকার কিছু বর্ষীয়ান আইনজীবী হাসিনার পক্ষে দাঁড়িয়ে লড়াই করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের সকলকেই প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। তাদের আদালতে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমরা কোনও প্রতিনিধিত্বই করতে পারিনি।"
যদিও এই রায়কে মানছেন না শেখ হাসিনা এবং তাঁর দল। ফাঁসির সাজা ঘোষণা হতেই সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, একটি মৌলবাদী এবং অনির্বাচিত সরকারের রায় অর্থহীন। এদের সাজা দেওয়ার এক্তিয়ারই নেই। মানুষকে বোকা বানাতে নাটক চলছে। বাংলাদেশের ইতিহাস পালটে ফেলতে ষড়যন্ত্র চলছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে মামলা করতে পারবেন হাসিনা কিংবা তাঁর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সমস্যা হল হাসিনা যদি তা করেন, তবে ইউনুসের ট্রাইবুনালকে মান্যতা দেওয়া হবে। শুরু থেকে যার বিরুদ্ধে সরব বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর দল।
