সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জামাত-ই-ইসলামি ও ইসলামি ছাত্র শিবিরের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ এনেছিল তৎকালীন হাসিনা সরকার। পাকিস্তানপন্থী জামাতকে নিষিদ্ধও করা হয়েছিল। কিন্তু তার পর পদ্মা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। গণ আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। নেতৃত্বে রয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মহম্মদ ইউনুস। এবার তাঁর কাছে জামাতের প্রশ্ন, "কেউ আমাদের নিষিদ্ধ করে দিল বলেই কি আমরা নিষিদ্ধ হয়ে গেলাম?"
সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি, জামাতের মতো রাজনৈতিক দল। উপস্থিত ছিলেন জামাতের আমির শফিকুর রহমান ও দলের অন্যান্য সদস্যারা। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো সূত্রে খবর, এদিনের বৈঠকে শফিকুর রহমান বলেন, "আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখন আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে নেওয়ার জন্য হঠাৎ করে জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেওয়া হল। মানুষ এটা গ্রহণ করেনি। কেউ আমাদের নিষিদ্ধ করে দিল বলেই আমরা নিষিদ্ধ হয়ে গেলাম? এটা আমরা মনে করি না।" এর পর সাংবাদিক বৈঠকে শফিকুর রহমানকে জামাতের নিবন্ধন ফেরানো বা নিষিদ্ধ করার ঘোষণা বাতিলের বিষয়ে বৈঠকে কথা হয়েছে কি না, জানতে চাওয়া হয়। যার উত্তরে তিনি বলেন, "আমরা এখানে দলীয় দাবি–দাওয়া নিয়ে আসিনি। আমরা এসেছি জাতীয় স্বার্থের বিষয়ে আলোচনা করতে।"
[আরও পড়ুন: মুজিবের হত্যার দিনেই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা আওয়ামি লিগের, হাসিনার দলকে কী বার্তা অন্তর্বর্তী সরকারের?]
সংখ্যালঘুদের উপর হামলা প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে শফিকুর রহমান ঘটনাগুলোকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, "এটা সত্য, আমাদের এখানে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী যাঁরা আছেন, তাঁদের উপর বিভিন্ন জায়গায় কিছু হামলা হয়েছে। হামলাটা ধর্মীয় কারণে হয়েছে, নাকি রাজনৈতিক কারণে হয়েছে, সেটা খুঁজে বের করতে হবে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন ধর্মীয় সংকটে যাঁরা আছেন, তাঁরাই বলেছেন, সব হামলাকে ধর্মীয় হামলা বলে চালিয়ে দেওয়া যাবে না।" জামাতকে নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কী অবস্থান গ্রহণ করে সেদিকেই নজর রয়েছে ওয়াকিবহাল মহলের।