সুকুমার সরকার, ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন এবং তিনবারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শেষকৃত্য হবে বুধবার। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা এবং সংলগ্ন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে হবে এই কাজ। তাঁর স্বামী, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পাশেই তাঁকে কবর দেওয়া হবে। মঙ্গলবার দুপুরে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রণে অংশ নেন বিএনপি-র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির। বৈঠকে তিনি খালেদা জিয়ার শেষকৃত্য এবং কবরের বিষয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এদিকে, খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার সমাজ মাধ্যম এক্স-এ এক বার্তায় শোক প্রকাশ করেন নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, 'খালেদা জিয়ার পরিবার ও বাংলাদেশের মানুষের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা। এই মর্মান্তিক ক্ষতি সহ্য করার শক্তি যেন সর্বশক্তিমান তাঁর পরিবারকে দেন।' মোদি আরও বলেন, 'বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের উন্নয়নে, পাশাপাশি ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অবদান সব সময় স্মরণ করা হবে।' মোদি আরও বলেন, '২০১৫ সালে ঢাকায় তাঁর সঙ্গে আমার সাক্ষাতের কথা মনে আছে। আমরা আশা করি, তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ও উত্তরাধিকার আমাদের পারস্পরিক অংশীদারত্বকে ভবিষ্যতেও পথ দেখাবে। খালেদা জিয়ার আত্মার শান্তি কামনা করি।'
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার। এছাড়া বুধবার সারাদেশে সাধারণ ছুটি থাকবে। মঙ্গলবার, সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ। মঙ্গলবার দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মহম্মদ ইউনুস তাঁর ভাষণে বলেন, 'প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আমি তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক এবং আগামীকাল তাঁর শেষকৃত্যের দিনে এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছি।'
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গণভোট নিয়ে সরকারের কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার ও বুধবার সারা দেশে গণভোটসংক্রান্ত সব ধরনের প্রচার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানীর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতাল এলাকায় জড়ো হতে থাকেন হাজারো মানুষ। নেতা-কর্মী, সমর্থক, সাধারণ মানুষ আসেন এখানে।
