সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও সংকটজনক হচ্ছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া (Khaleda Zia)। তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে বলে খবর হাসপাতাল সূত্রে। তবে চিকিৎসকদের মতে, কিছুটা হলেও চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন ৮০ বছরের বিএনপি নেত্রী। এমন সংকটকালে মায়ের পাশে থাকতে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান দেশে ফিরতে উদগ্রীব। কিন্তু তাঁর বাংলাদেশে ফেরা নিয়ে বেশ জটিলতা রয়েছে। নিজে ফেসবুক পোস্টে সেকথা উল্লেখ করে তারেকের বক্তব্য, 'রাজনৈতিক বাস্তবতার এই পরিস্থিতি প্রত্যাশিত পর্যায়ে উপনীত হওয়া মাত্রই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আমার সুদীর্ঘ উদ্বিগ্ন প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে বলেই আমাদের পরিবার আশাবাদী।'
এক সপ্তাহ আগে, গত ২৩ নভেম্বর গুরুতর অসুস্থ হয়ে ঢাকার এক হাসপাতালে ভর্তি হন ৮০ বছরের বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যা-সহ একাধিক ব্যধিতে ভুগছেন তিনি। সম্প্রতি শ্বাসকষ্ট হওয়ায় তাঁকে আর বাড়িতে রাখার ঝুঁকি নেয়নি পরিবার। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি মেডিক্যাল বোর্ডের অধীনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। তবে স্বাস্থ্যের বিশেষ উন্নতি নেই। শুক্রবার তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশজুড়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করে বিএনপি। এছাড়া বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস দেশবাসীকে তাঁর জন্য প্রার্থনার আবেদন জানিয়েছেন। এছাড়া শনিবার উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার জন্য প্রার্থনা করা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, চিকিৎসায় অল্প সাড়া দিলেও বিএনপি নেত্রীর স্বাস্থ্যের তেমন উন্নতি নেই। বিএনপির তরফে জানানো হয়েছে, নেত্রীর স্বাস্থ্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক, প্রার্থনাই একমাত্র সম্বল। এই পরিস্থিতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তথা জিয়াপুত্র তারেক রহমানের লন্ডন থেকে দেশে ফেরার কথা থাকলেও এখনও ফিরতে পারেননি তিনি। নিজের ফেসবুক পোস্টে তারেক লিখেছেন, 'এমন সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ স্পর্শ পাবার তীব্র আকাঙ্খা যে কোন সন্তানের মত আমারও রয়েছে। কিন্তু অন্য আর সকলের মত এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। স্পর্শকাতর এই বিষয়টি বিস্তারিত বর্ণনার অবকাশও সীমিত। রাজনৈতিক বাস্তবতার এই পরিস্থিতি প্রত্যাশিত পর্যায়ে উপনীত হওয়া মাত্রই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আমার সুদীর্ঘ উদ্বিগ্ন প্রতিক্ষার অবসান ঘটবে বলেই আমাদের পরিবার আশাবাদী।'
