shono
Advertisement
Bangladesh

ভূরি ভূরি খুন, ধর্ষণ, মন্দির ধবংসের অভিযোগ, তবু ইউনুস বলছেন, 'অতীতের চেয়ে সৃজনশীল আমরা'

ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মুজিবের ৩২ ধানমন্ডির বাড়ি।
Published By: Suchinta Pal ChowdhuryPosted: 04:53 PM Feb 20, 2025Updated: 04:58 PM Feb 20, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের মাটিতে চরম নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘুরা। কয়েকদিন আগেই চাঞ্চল্যকর এক রিপোর্ট প্রকাশ করে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ইউনিটি কাউন্সিল। এই রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, মাত্র পাঁচ মাসে ওপার বাংলায় খুন হয়েছেন ৩২ হিন্দু। ১৩ জন সংখ্যালঘু মহিলাকে ধর্ষণ ও গণধর্ষণ করা হয়েছে। ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে ১৩৩টি মন্দির। কিন্তু এরপরও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস বলেছেন, "অতীতের যেকোনও সময়ের চেয়ে আমরা এখন বেশি সৃজনশীল।" এই মুহূর্তে চরম অরাজকতা বাংলাদেশে। দিকে দিকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছতে রীতিমতো 'ধ্বংসলীলা' চলছে। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মুজিবের ৩২ ধানমন্ডির বাড়ি।

Advertisement

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘একুশে পদক-২০২৫’অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ইউনুস। সেখানেই তিনি বলেন, "আমাদের তরুণ প্রজন্ম নতুন পৃথিবী সৃষ্টিতে নেতৃত্ব দিতে চায়। সেই নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তারা প্রস্তুত। ছেলেরাও প্রস্তুত, মেয়েরাও প্রস্তুত। তারা ঘুণে ধরা, আত্মবিনাশী সভ্যতার বন্ধনমুক্ত হয়ে তাদের স্বপ্নের নতুন সভ্যতা গড়তে চায়। যে সভ্যতার মূল লক্ষ্য থাকবে পৃথিবীর সকল সম্পদের উপর প্রতিটি মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা। প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন দেখার এবং সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের সকল সুযোগ নিশ্চিত করা। মানুষের জীবনযাত্রাকে এমনভাবে গড়ে তোলা যাতে করে পৃথিবীর অস্তিত্ব কোনও রকমে বিঘ্নিত না হয় এবং পৃথিবীর উপর বসবাসরত সব প্রাণীর সুস্বাস্থ্য নিয়ে বেঁচে থাকা কোনও ক্রমেই বিঘ্নিত না হয়। আমরা এখন অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী, উদ্যমী এবং সৃজনশীল।"

এদিকে, ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৪ আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বর এই সময়কালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। সরকার বদলের মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে ২০১০ টি সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটে। এমনকি চাপের মুখে বাংলাদেশ সরকার স্বীকারও করে নেয়, এর মধ্যে ১৭৬৯টি ঘটনার প্রমাণ পেয়েছে তারা। মামলাও শুরু হয়। তবে সেই মামলায় খুব বিশেষ তৎপরতা দেখা যায়নি সরকারের তরফে।

সংখ্যালঘু কমিটির রিপোর্টের পাশাপাশি গত বুধবার রাষ্ট্রসংঘের একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দাবি করা হয়, গত বছরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার জেরে ১৪০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে। শেখ হাসিনার বিদায়ের পর থেকে বেলাগাম নির্যাতন হয়েছে সংখ্যালঘুদের উপর। তাদের দোকানপাঠ, উপসনাস্থলে ভাঙচুর চলেছে। এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে গ্রামীণ ক্ষেত্রে ঠাকুরগ্রাম, লালমোনিরহাট, দিনাজপুর, সিলেট, খুলনা ও রংপুরে। ফলে বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউনুস যতই বলুন এখন বাংলাদেশ অনেক বেশি সৃজনশীল, এই রিপোর্টগুলো তিনি উড়িয়ে দিতে পারবেন না। মুজিবের বাড়িতে গিয়ে তাণ্ডব চালানোর ছবি সকলেই দেখেছেন। এখনও জেলেবন্দি ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভু।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • বাংলাদেশের মাটিতে চরম নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘুরা।
  • কয়েকদিন আগেই চাঞ্চল্যকর এক রিপোর্ট প্রকাশ করে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ইউনিটি কাউন্সিল।
  • এই রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, মাত্র পাঁচ মাসে ওপার বাংলায় খুন হয়েছেন ৩২ হিন্দু। ১৩ জন সংখ্যালঘু মহিলাকে ধর্ষণ ও গণধর্ষণ করা হয়েছে।
Advertisement