সুকুমার সরকার, ঢাকা: লকডাউন (Lockdown) চলছে, অথচ রাস্তার ছবি দেখে তা বিশেষ বোঝার উপায় নেই। ঢাকা শহরের পথঘাট যানজটে পূর্ণ। সোমবার, সপ্তাহের প্রথম দিন প্রচুর প্রাইভেট গাড়ি চলছে রাস্তায়। ফলে গন্তব্যে পৌঁছতে বেশ কিছু দেরি হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। আগামী ১৪ তারিখ থেকে কড়া লকডাউনের পথে যাচ্ছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। তার যাবতীয় নির্দেশিকা ধাপে ধাপে প্রকাশ করছে প্রশাসন। কিন্তু তার আগেই যেভাবে লকডাউন ভাঙার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে জনতার মধ্যে, তা বিপজ্জনক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে, এই পরিস্থিতিতে ব্যাংকের কাজ কীভাবে চলবে, তা নিয়ে সোমবার বৈঠকে বসেছেন ব্যাংকের কর্তারা।
সোমবার বাংলাদেশের মন্ত্রী পরিষদের তরফে জারি করা হয়েছে একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা। বলা হয়েছে, ১৪ এপ্রিল থেকে সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা-কর্মীরা নিজেদের বাড়ি থেকে কাজ করবেন। তবে বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থল বন্দরের কার্যালয়গুলি এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। যদিও ২১ এপ্রিল পর্যন্ত যাত্রীবাহী নৌযান বন্ধ থাকবে। খাবারের দোকান, হোটেল ও রেস্তরাঁ দুপুর ১২টা থেকে সন্ধে ৭টা এবং রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে হোটেল ও রেস্তরাঁয় বসে কেউ খাবার খেতে পারবেন না। চালু থাকবে অনলাইন ডেলিভারি পরিষেবা।
[আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশে কড়া লকডাউন, বন্ধ হচ্ছে বিমান পরিষেবা]
শিল্প সংস্থা ও কারখানাগুলিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কাজ চালু থাকবে। তবে শ্রমিকদের প্রতিষ্ঠান থেকে নিজস্ব পরিবহণে যাতায়াত করাতে হবে। এছাড়া সমস্ত জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। ১৪ তারিখ থেকে এক সপ্তাহের জন্য কড়া লকডাউন চালু হচ্ছে বাংলাদেশে। তাই তার আগে কর্মস্থলগুলি থেকে বাড়ি ফেরার তাড়া রয়েছে বহু মানুষের। ফলে ফেরিঘাট, বাসস্ট্যান্ডে ভিড় বাড়ছে। সচেতনতাও কম সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে। অনেকেই মাস্ক ছাড়া গণপরিবহণ ও অন্যান্য গাড়িতে যাতায়াত করছেন। ফলে চিন্তা আরও বাড়ছে।