সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যুদণ্ড নাকি যাবজ্জীবন, আর কিছুক্ষণের মধ্যে স্পষ্ট হবে কী রয়েছে শেখ হাসিনার ভাগ্যে। সেদিকেই তাকিয়ে প্রায় সকলে। তবে তার আগে 'ডোন্ট কেয়ার' হাবভাব শেখ হাসিনার। কাউকে যে তিনি পরোয়া করেন না, অডিও বার্তায় সাফ জানিয়েছেন তিনি। আগামী দিনে বাংলাদেশে আওয়ামি লিগ আরও শক্তিশালী হবে বলেই আশা হাসিনার।
তিনি বলেন, "আমি জানি আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আদালতের চিফ প্রসিকিউটর আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি এনেছেন, তার সবই মিথ্যা। আবু সঈদের বাবা নিজেই বলেছেন তাঁর ছেলের মাথার পিছনে গুলি লেগেছে। কিন্তু সারা বিশ্ব জানে আবু সঈদ বুক পেতে গুলি খেয়েছে। পুলিশ তো মেটাল বুলেট ব্যবহার করেনি। রাবার বুলেট ব্যবহার করা হয়।" তিনি আরও বলেন, "আমি যেখানে ১০ লক্ষ রোহিঙ্গাকে জায়গা দিলাম। তাঁরা নির্যাতিত ছিলেন। এর চেয়ে বেশি মানবিক কাজ আর কী হতে পারে?" দৃপ্ত কণ্ঠে হাসিনা আরও বলেন, "আল্লা জীবন দিয়েছেন, তিনিই নেবেন। বিচার করুক। ওসব বিচারের আমি পরোয়া করি না। শুধু মানুষের জন্য কাজ করব।" বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, "হামলা, মামলা দিয়ে আমার কণ্ঠ বন্ধ করতে পারবে না।" আগামী দিনে আওয়ামি লিগ আরও শক্তিশালী হবে বলেই আশাবাদী মুজিবকন্যা।
প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাই মাসে হাসিনা সরকারে পতন ঘটে। চাপে পড়ে পদত্যাগ করেন। দেশও ছাড়েন। বর্তমানে রয়েছেন ভারতেই। হাসিনার বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ রয়েছে।
প্রথম অভিযোগ: গত বছরের ১৪ জুলাই গণভবনে আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা ও নাতিপুতি’ হিসাবে আখ্যা দেন হাসিনা। আন্দোলনকারীদের উপর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি-সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং আওয়ামি লিগ সদস্যদের হামলা।
দ্বিতীয় অভিযোগ: শেখ হাসিনার আন্দোলনকারীদের হত্যা ও নির্মূলের নির্দেশ দেন। হেলিকপ্টার, ড্রোন এমনকী তাঁদের উপর প্রাণঘাতী অস্ত্র হামলার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশে ফলে হাজারেরও বেশি আন্দোলনকারীর প্রাণ যায়।
তৃতীয় অভিযোগ: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ হত্যা কাণ্ডে শেখ হাসিনা-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ।
চতুর্থ অভিযোগ: ৫ আগস্ট, ২০২৪ সালে ঢাকার চাঁনখারপুলে হাসিনার নির্দেশে ৬ জনকে গুলি করে খুন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
পঞ্চম অভিযোগ: ঢাকার আশুলিয়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত ৫ এবং একজন জীবিতকে পুলিশের গাড়িতে পুড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দান।
এদিকে, রায় ঘোষণার আগে থেকেই উত্তপ্ত বাংলাদেশ। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।
