সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে শেখ হাসিনাকে। কিন্তু তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, কারচুপির আদালত এই রায় দিয়েছে। জনমত না থাকা এক সরকারের নেতৃত্বে এই ট্রাইবুনাল কাজ করেছে। তাই এই ট্রাইবুনালের কোনও এক্তিয়ারই নেই। মৃত্যুদণ্ডের সাজা প্রসঙ্গে হাসিনা বলেন, মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের 'খুনি' মানসিকতার প্রমাণ এই ফাঁসির সাজা।
সোমবার তিনটি অপরাধে হাসিনাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ট্রাইবুনাল। ফাঁসির সাজা দেওয়ার পরেই দীর্ঘ বিবৃতি জারি করেছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'জনমত ছাড়াই গঠিত হওয়া সরকার এই ট্রাইবুনাল গঠন করেছে। তাই এই আদালতের কোনও বৈধতা নেই। যেভাবে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে, সেটা আসলে ইউনুস সরকারের মৌলবাদীদের খুনে মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। আসলে তাদের উদ্দেশ্য ছিল আওয়ামি লিগকে বলির পাঁঠা করে বাংলাদেশের বর্তমান সমস্যাগুলো থেকে নজর ঘুরিয়ে দেওয়া। এই রায় পক্ষপাতমূলক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।'
বাংলাদেশের বর্তমান অরাজকতার পরিস্থিতি উল্লেখ করে বিবৃতিতে হাসিনা বলেন, 'বাংলাদেশে প্রশাসন ভেঙে পড়েছে। অপরাধে ভরেছে গোটা দেশ। আওয়ামি লিগের বিরুদ্ধে অন্যায় করেও দোষীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। হিন্দু এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চলছে, নারীদের অধিকার খর্ব হচ্ছে, গ্রেপ্তার হচ্ছেন সাংবাদিকরা। প্রশাসনের মধ্যে মৌলবাদীরা ঢুকে পড়ে বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শ ক্ষুণ্ণ করছে। নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে বাংলাদেশের প্রাচীনতম দলকে ভোটপ্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দিয়েছে।'
তবে হাসিনা আশাবাদী, বর্তমানে ইউনুসের শাসনাধীন বাংলাদেশের মানুষকে এইভাবে বোকা বানানো যাবে না। একজনও বাংলাদেশি কোনওদিন ইউনুসের পক্ষে ভোট দেননি। ফাঁসির সাজা ঘোষণায় তাঁরা দেখতে পাবেন, ছাত্র আন্দোলনে মৃতদের সুবিচার দেওয়াটা এই ট্রাইবুনালের উদ্দেশ্য ছিলই না। বরং তাদের উদ্দেশ্য ছিল আওয়ামি লিগকে বলির পাঁঠা বানানো। নির্ভীক হাসিনার বার্তা, আগামী বছরের বাংলাদেশের নির্বাচন যেন স্বচ্ছভাবে হয়।
