কৃষ্ণকুমার দাস, ঢাকা: কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে দ্বাদশ সাধারণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশে (Bangladesh)। বিপুল ভোটে জিতে চতুর্থবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। আর ভোটে জিতেই আমেরিকার (USA) বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন হাসিনা। সাফ বললেন, ”বড় বড় দেশ অনেক কিছু বলতে পারে। আমরা ছোট দেশ। কিন্তু আমাদের দেশে সার্বভৌমত্ব রয়েছে।” এর পর আমেরিকার প্রতিনিধিদের উদ্দেশে হাসিনা বলেন, ”এই নির্বাচনে যা দেখেছেন, নিজেদের দেশে ফিরে সেটাই বলবেন।”
সোমবার ঢাকার (Dhaka) গণভবনে বিদেশি প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হন শেখ হাসিনা। সেখানেই আমেরিকার বিরুদ্ধে কার্যত বিস্ফোরণ ঘটালেন তিনি। বলেন, ”কোন দেশের গণতন্ত্র বেশি মজবুত? বাংলাদেশ নাকি আমেরিকা? এবারের নির্বাচনে ভোট হয়ত কম পড়েছে, কিন্তু আমরা খুশি। ভালোভাবেই ভোট হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: ওপার বাংলায় ফের ক্ষমতায় আওয়ামি লিগ, প্রিয় ‘হাসিনাদি’কে শুভেচ্ছা জানালেন মমতা]
ভোটের আগেই আমেরিকাকে একহাত নিয়েছিলেন হাসিনা। বলেছিলেন, ‘‘আমেরিকা যার বন্ধু হবে, তার শত্রু লাগে না।’’ ক্ষোভ উগড়ে হাসিনার আরও বক্তব্য, মার্কিন প্রশাসন কথায় কথায় অন্য দেশের বিষয়ে নাক গলায়। আসলে বাইডেন (Joe Biden) প্রশাসনের ভিসা নীতি নিয়েই উভয়ের সম্পর্কের অবনতির সূত্রপাত। অভিযোগ, সুষ্ঠু নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টিকারীদের ‘সাজা’ দিতেই এই পন্থা অবলম্বন করেছিল ওয়াশিংটন। তা নিয়ে হাসিনা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এনিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
[আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে বড় জয় বিলকিস বানোর, ধর্ষকদের ফিরতে হবে জেলেই]
এর আগে যখন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার যুদ্ধাপরাধীদের হাসিনা সরকার ফাঁসির সাজা দিয়েছিল, সেসময় আমেরিকার তৎকালীন বিদেশ সচিব হিলারি ক্লিন্টন হাসিনাকে ফোন করে সাজা নিয়ে নরম মনোভাবের কথা বলেছিলেন। তখনও হাসিনা স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, এটা বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়। আমেরিকার কথায় তার বদল হবে না। অপরাধীদের শাস্তি পেতেই হবে। কড়া হাতে ‘রাজাকার’দের দমন করতে হাসিনা সরকারের সেই ভূমিকাকে মোটেই ভালো চোখে দেখেনি আমেরিকা। সেসবের পর এবারের নির্বাচন নিয়েও আমেরিকাকে তোপ দাগলেন শেখ হাসিনা।