সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণহত্যা মামলায় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল আদালত ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ফাঁসির আদেশ দিয়েছে। এইসঙ্গে তাঁর যাবতীয় সম্পত্তি ক্রোক করে তা দিয়ে নিহতদের পরিবার এবং আহতদের ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে সেই কাজ। মঙ্গলবার হাসিনার দু'টি লকার খোলা হয়। সেখান থেকে ৮৩২ ভরি সোনার গয়না পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন বলা হয়েছে, রাজধানী ঢাকার দিলকুশা এলাকায় অগ্রণী ব্যাঙ্কে থাকা ওই লকার দু'টি গত সেপ্টেম্বরে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। আদালতের অনুমতি নিয়ে গতকাল একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লকার দু'টি খোলা হয়। দেখা যায় ভিতরে রয়েছে ভরি ভরি সোনার গয়না। সূত্রের খবর, ওজন করে দেখা গিয়েছে দু'টি লকারের মোট সোনার পরিমাণ ৮৩২ ভরি। পরবর্তী পদক্ষেপ হল হাসিনার আয়কর রিটার্নের তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে। যদিও স্পষ্ট নয়, তথ্য না মিললে ঠিক কোন পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই দু'টি ছাড়াও পূবালী ব্যাঙ্কে থাকা হাসিনার আরও একটি লকার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেটি এখনও খোল হয়নি বলেই খবর।
জুলাই অভ্যুত্থানে দেশছাড়া হওয়ার পর থেকে মহম্মদ ইউনুসের বাংলাদেশে অসংখ্য মামলা হয়েছে হাসিনার বিরুদ্ধে। গুরুতর মামলাগুলির মধ্যে রয়েছে জুলাই বিপ্লবী ছাত্রদের উপর গুলি চালানো তথা মানবতাবিরোধী অপরাধ, আয়নাঘর সংক্রান্ত অভিযোগ ইত্যাদি। এছাড়াও হাসিনা তথ্য গোপন করে কর ফাঁকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশে।
গত ১৭ নভেম্বর বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার, বিচারপতি মহম্মদ শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মহম্মদ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর ট্রাইবুনাল বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করে। এরপরই সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় হাসিনাকে। যদিও আওয়ামি লিগ আগেই জানিয়েছে, জামাত প্রভাবিত ‘ক্যাঙারু আদালতে’ বিচারের নামে প্রহসন চলছে। যেখানে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ নেই, তা কখনই ন্যায় বিচার হতে পারে না।
