সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা। বাটলা হাউস এনকাউন্টারকে (Batla House encounter) এভাবেই ব্যাখ্যা করল আদালত। ঘটনায় নিহত পুলিশ ইনস্পেক্টর মোহন চাঁদ শর্মার হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ‘ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন’-এর জঙ্গি আরিজ খানকে ফাঁসি দেওয়া হল।
আজ থেকে প্রায় তেরো বছর আগে গোটা দেশে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল বাটলা হাউসের (Batla House) শুট আউটের ঘটনা। জামিয়া নগরে জঙ্গিদমনে নেমেছিল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। যার পোশাকি নাম ছিল ‘অপারেশন বাটলা হাউস’। সেই অভিযানে খতম হয়েছিল ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের দুই জঙ্গি আরিফ আমিন এবং মহম্মদ সাজিদ। জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল মহম্মদ সইফ এবং জিশানকে। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল দিল্লি পুলিশ ইন্সপেক্টর তথা এনকাউন্টার স্পেশ্যালিস্ট মোহন চাঁদ শর্মার। অভিযুক্ত আরিজ খান (Ariz Khan) ছিল পলাতক। ঘটনায় বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। উত্তাল হয়েছিল রাজধানী।
[আরও পড়ুন: সন্ত্রাস দমনে বড় সাফল্য, কাশ্মীরে খতম শীর্ষ জইশ কমান্ডার সাজ্জাদ আফগানি]
বছর দশেক ফেরার থাকার পরে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লি পুলিশের বিশেষ শাখার পাতা ফাঁদে পা দিয়ে উত্তরপ্রদেশের আজমগড় থেকে গ্রেপ্তার হয় আরিজ। কেবল ওই পুলিশ অফিসারকে গুলি করাই নয়, ২০০৮ সালে দিল্লি, রাজস্থান, গুজরাট ও উত্তরপ্রদেশে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ কাণ্ডের প্রধান চাঁই ছিল সে-ই।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক আজিজ খান ছিল একজন বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ। ২০০৮ সালের বিস্ফোরণের পরে পালিয়ে নেপালে চলে যায় সে। সেখানে নাম বদলে একটি রেস্তরাঁও খুলে ফেলে আজিজ। কিন্তু সন্ত্রাসমূলক কাজকর্ম থেকে সরে যায়নি সে। এদিকে দিল্লি পুলিশও তাকে খুঁজে চলেছিল লাগাতার। তিন বছর আগে সিমি জঙ্গি আবদুল সুহানের কাছ থেকে খবর পেয়ে ভারত ও নেপালের সীমান্তবর্তী এলাকায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই থেকে জেলে আরিজ। মার্চেই তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। প্রসঙ্গত, আরেক অভিযুক্ত শাহজাদ আহমেদও পলাতক ছিল। কিন্তু ২০১৩ সালেই সে ধরা পড়ে যায়। পরে তাকে সাজাও শোনায় আদালত।