স্টাফ রিপোর্টার: বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) বিমান বিপত্তির ঘটনায় DGCA-এর কাছে রিপোর্ট তলব করল রাজ্য সরকার। যে এয়ার রুটে মুখ্যমন্ত্রীর বিমান ফিরেছেন, তার অনুমতি আগে থেকে ঠিকমতো নেওয়া হয়েছিল কিনা তা জানতে চাওয়া হয়। সূত্রের খবর, রাজ্যের নির্দেশের পরই ওই ঘটনায় রিপোর্ট তৈরির কাজ শুরু করল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এদিকে, বারবার বিমান বিপত্তির ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদকীয়তেও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
বারাণসী থেকে শুক্রবার বিমান চড়ে কলকাতায় ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিমানটি ২টো ২৮ মিনিটে বারাণসী থেকে ওড়ে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সর্বক্ষণের নিরাপত্তা আধিকারিকরা। কলকাতায় নামার পনেরো মিনিট আগেই বিভ্রাট হয় বিমানটিতে। কলকাতায় বিমান নামার আগে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি হয়। দু’দিকে দুলতে দুলতে বিমানটি নেমে আসতে থাকে। এক নিমেষে প্রায় ১০০ মিটার পর্যন্ত নেমে আসে সেটি। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বিমানের ভিতরে থাকা প্রত্যেকে।
[আরও পড়ুন: পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট যাওয়া যাবে না শৌচালয়ে, মাধ্যমিকে প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে কড়া পর্ষদ]
মুখ্যমন্ত্রী পিঠে, কোমরে এবং পায়ে চোট পান। পরে বিমানটি নিরাপদে মাটিতে নেমে এলেও এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী জেড প্লাস (Z+) নিরাপত্তা পান, তাই তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ডিজিসিএ-র কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। অন্যদিকে, ডিজিসিএ-ও আলাদা করে এ নিয়ে তদন্ত করছে। মনে করা হচ্ছে, সেটি বড় কোনও এয়ার পকেটে পড়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও এ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বারাণসী থেকে আকাশপথে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ১ ঘণ্টার। তার মধ্যেই এই পরিস্থিতি। বিমানটি শেষে ৩টে ২৩ মিনিটে দমদমে অবতরণ করে। তারপরই খবর জানাজানি হয়। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠমহলে ক্ষোভপ্রকাশও করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর মতো মানুষ যখন যাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে তাঁর সুরক্ষা সবরকমভাবে নিশ্চিত করার কথা। সেই বন্দোবস্ত আগে থেকে নেওয়া ছিল কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যে খোঁজখবর শুরু হয়েছে সরকারি তরফে।