সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: একেই বলে বাপকা বেটা। ১৪ বছরেই সৃষ্টিতে মেতেছে অঙ্কন। তাঁর আঙুলের ছোঁয়ায় যেন প্রাণ পেয়েছে সামান্য চক-পেনসিল। শুধু চক দিয়ে তিন ইঞ্চির কালী প্রতিমা বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এই পড়ুয়া। বাবা শিল্পী হলেও এই কৃতিত্ব সম্পূর্ণ অঙ্কনের। মাত্র কুড়িদিনের মধ্যেই অপরূপ একটি কালী প্রতিমা গড়েছে সে। পিছিয়ে নেই বাবা প্রসেনজিৎও। তিনিও সাবান দিয়ে আড়াই ইঞ্চির কালীমূর্তি বানিয়েছেন। আর বাবা-ছেলের এই যুগলবন্দি গোপীবল্লভপুরের এখন আলোচনার বিষয়।
[ইসলাম গ্রহণ করেও কেন সাধনা করেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ?]
ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর এক ব্লকের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ প্রধান ও অঙ্কন প্রধান। অঙ্কন গোপীবল্লভপুরের নয়াবসান জনকল্যাণ বিদ্যাপিঠের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র৷ আর প্রসেনজিৎবাবু নয়াগ্রামের চাঁদাবিলা এসসি হাইস্কুলের জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক৷ ফেলে দেওয়া নানারকম তুচ্ছ সামগ্রী দিয়ে ঘর সাজানোর জিনিস তৈরি করেন প্রসেনজিৎবাবু। তাঁর ঘরটি যেন আস্ত এক সংগ্রহশালা৷ ছোটবেলা থেকে বাবার এই কাজ দেখে বড় হয়েছে অঙ্কন। প্রথাগতভাবে হাতের কাজ তৈরির শিক্ষা না নিয়েও আজ সে অনায়াসে তৈরি করতে পারে নিপুণ শিল্পকলা।
[মা যে জীবন্ত! জানেন কীভাবে প্রমাণ করেছিলেন সাধক কমলাকান্ত?]
আটটি গোটা চককে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে অঙ্কন বানিয়েছে তিন ইঞ্চির কালী প্রতিমাটি। কখনও চককে ভেঙে বা গুলে নিজের ভাবনা এবং স্বকীয়তার মিশিয়ে ফুটিয়ে তুলেছে এই শিল্পকর্ম৷ প্রতিমার মধ্যে কী নেই! দেবীর হাতে খড়গ, হাতে কাটা মুণ্ড, দেবীর গা ভরা অলঙ্কার সবই রয়েছে। অন্যদিকে প্রসেনজিৎবাবু একটি সাদা রঙের গায়ে মাখা সাবান দিয়ে বানিয়েছেন কালী প্রতিমা৷ প্রসঙ্গত, গত বছরও প্রসেনজিতবাবু টুথ-পিক এবং আইসক্রিমের কাঠি ব্যবহার করে পাঁচ সেন্টিমিটারের কালী প্রতিমা তৈরি করেছিলেন৷ প্রসেনজিৎবাবুর ইচ্ছে, তাঁদের তৈরি কালী মুর্তি দু’টি কোনও সংগ্রহশালায় দান করার৷ নিজের বাড়িতে যাতে এই শিল্পকর্মা বাঁচিয়ে রাখা যায়
ছবি: সৌরজিৎ ভট্টাচার্য
The post চক দিয়ে তৈরি ৩ ইঞ্চি কালীর প্রতিমা, তাক লাগানো কীর্তি স্কুল পড়ুয়ার appeared first on Sangbad Pratidin.
