নিজস্ব সংবাদদাতা, বালুরঘাট: স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছ থেকে বীজ কিনে ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা। ক্ষতিপূরণের দাবি উঠেছে। মেয়াদোত্তীর্ণ বীজ সরবরাহ করে সবজি উৎপাদনে ক্ষতি এবং সময় নষ্ট করা অভিযোগ এনজিওর বিরুদ্ধে। প্রতারণার অভিযোগে সরব চাষিরা।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি ব্লকের অন্তর্গত পূর্ব রায়নগর ঘটনা। চাষিদের অভিযোগ, স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ফুলকপি এবং বাধা কপির বীজ সরবরাহ করেছিল এলাকার ২২ জন চাষিকে। সেই বীজ নিজ নিজ জমিতে রোপন করেছিলেন তাঁরা। এদিকে, বীজ বপন করার পরেও বাঁধাকপির চারাই গজায়নি। তবে ফুল কপির চারা থেকে গাছ বের
হয় এবং ১৫ দিনের মধ্যে ফুলের কুড়ি আসে। কিন্তু তা বড় না হয়ে মরে যায়। যেখানে এক বিঘা জমিতে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা লাভ হওয়ার কথা, সেখানে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। আবার চারমাস কপি চাষের সময় বা মরসুম নষ্ট হল চাষিদের। এলাকার ২২ জন চাষির অন্তত ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি। এর জেরে স্থানীয় বাজারে লোকাল কপি জোগান কম হওয়ায় দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সাধারণ ক্রেতা বিক্রেতারা।
হিলি পূর্ব রায় নগরের ক্ষতিগ্রস্ত চাষি ওম প্রকাশ স্বর্ণকার জানান, প্রতিবারই স্থানীয় এনজিও তরফ তাদেরকে বীজ সরবরাহ করা হয়। এবারও সেভাবেই তাদেরকে বীজ দেওয়া হয়েছিল। তাদের অনুমান বীজগুলি পুরনো এবং মেয়াদোত্তীর্ণ। যা নয়া প্যাকেটের মোড়কে পুড়ে তাদের কাছে বিক্রি করা হয়েছিল। যার ফলে এই ক্ষতির মুখে পড়তে হল তাঁদের। তাঁরা ইতিমধ্যে বিষয়টি এনজিও কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ক্ষতিপূরণের দাবি করেছেন। বিপুল এই ক্ষতির মুখ থেকে বাঁচতে তারা ব্লক প্রশাসন এবং উদ্যানপাল দপ্তরে অভিযোগ জানাবেন।
জেলা উদ্যানপালন আধিকারিক রাজীব দাস বলেন, "এই ধরণের কোনও অভিযোগ এখনও হাতে আসেনি। অভিযোগ পেলে ঘটনাটি খতিয়ে দেখব।"
