shono
Advertisement

বিপদের দিনেও লড়ছেন সোনারপুরের দেড়শো মহিলা, ৫ হাজার পিপিই তৈরি করছেন রোজ

স্বাস্থ্যকর্মীদের হাতে সুরক্ষাবর্ম পিপিই পোশাক তুলে দিতে বদ্ধ পরিকর তাঁরা। The post বিপদের দিনেও লড়ছেন সোনারপুরের দেড়শো মহিলা, ৫ হাজার পিপিই তৈরি করছেন রোজ appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 09:35 AM Apr 11, 2020Updated: 09:35 AM Apr 11, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমগ্র মানবজাতি এক সংকটকালীন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বজুড়ে তৈরি হয়েছে ত্রাস। করোনা সংক্রমণের আতঙ্কে জনসাধারণ যখন গৃহবন্দি, বাইরে বেরনোর জো অবধি নেই, ঠিক সেসময়েই সমাজের স্বার্থে, দশের স্বার্থে এগিয়ে এল ওঁরা ১৫০ জন। করোনা বিরুদ্ধে লড়াই করতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দুরন্ত গতিতে কাজ করে চলেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগণার রোশনারা-সুস্মিতারা। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে কারখানায় প্রায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তৈরি করছেন পিপিই পোশাক (Personal Protection Equipment)।

Advertisement

কথাতেই আছে ‘যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে’। দক্ষিণ ২৪ পরগণার ওই ১৫০ জন মহিলার ক্ষেত্রেও একথা প্রযোজ্য। কারণ, এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতেও ঘরের কাজ সামলে তাঁরা পৌঁছে যাচ্ছেন কারখানায় পিপিই পোশাক তৈরি করার জন্যে। নার্স-চিকিৎসকরা যাঁরা উদয়াস্ত প্রাণপাত করে করোনা আক্রান্ত রোগীর সেবা করে চলেছেন, তাঁদের হাতে এই সুরক্ষাবর্ম পিপিই পোশাক তুলে দিতে তাঁরাও লড়ে যাচ্ছেন সবাই। লকডাউনে বন্ধ যানচলাচল। অগত্যা, রোজ সাইকেল চালিয়েই পৌঁছে যাচ্ছেন কারখানায়। আবার কেউ বা হেঁটেই পৌঁছচ্ছেন গন্তব্যে। তারপর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলছে পিপিই তৈরির লড়াই। রাজ্য সরকারের দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী টার্গেট, প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার পিপিই পোশাক তৈরি করা। তবে কাজের মাঝেও কিন্তু করোনা সংক্রমণ এড়াতে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করতে ভোলেননি তাঁরা। যতক্ষণ শিফট থাকছে, মুখে মাস্ক পরেই কাজ করছেন। বারবার স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করছেন।

[আরও পড়ুন: প্রেসক্রিপশন ছাড়াই দেদার বিক্রি, বাজারে সংকটের মুখে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের জোগান]

শুধু কাজ নয়, কারখানায় প্রবেশের আগেও মেনে চলা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে আসার পর বিশেষ কেমিক্যালে পরিশুদ্ধ হচ্ছেন তাঁরা। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রেখেই কাজ করছেন তাঁরা। কারখানাও নিয়মিত স্যানিটাইজড করা হচ্ছে।

কীভাবে তৈরি হচ্ছে পিপিই পোশাক? পার্সোনাল প্রোটেকশন ইক্যুইপমেন্ট পোশাক তৈরির কাপড় দেওয়া হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফে। সরকারের দেওয়া পোশাকের স্যাম্পল অনুযায়ী প্রথমে কাটিং করা হচ্ছে সেই কাপড়। তারপর ধাপে ধাপে যাবতীয় সেলাই করা হচ্ছে। কেউ কাটিং করছেন তো কেউ বা আবার সেলাই করছেন। কারও উপর আবার দায়িত্ব বর্তেছে পোশাকে ফিনিশিং টাচ দেওয়ার। পা থেকে মাথা পর্যন্ত একটিই অংশ। চেন খুলে পরতে হবে পোশাক। পোশাক তৈরি হয়ে গেলে তা স্যানিটাইজড করে প্যাকেটে ভরা হচ্ছে। এরপর রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী ওই পোশাক পৌঁছে যাচ্ছে যথাস্থানে। দেশের এমন দুঃসময়ে সমাজের জন্য কাজ করতে পেরে খুশি তাঁরা প্রত্যেকেই।

[আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কের মধ্যেই মরা মুরগির মাংস বিক্রির চেষ্টা, ধৃত ৫]

The post বিপদের দিনেও লড়ছেন সোনারপুরের দেড়শো মহিলা, ৫ হাজার পিপিই তৈরি করছেন রোজ appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement