বিধান নস্কর, দমদম: ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী প্রাক্তন সেনাকর্মী। বাড়িতে খবর দিতে গেলে মিলল স্ত্রী ও কন্যার রক্তাক্ত দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য দমদমে। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রাথমকি তদন্তে অনুমান, স্ত্রী ও মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই প্রাক্তন সেনাকর্মী। কিন্তু কেন? উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়। সেনাাবহিনীতে কর্মরত ছিলেন তিনি। তবে বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। সূত্রের খবর, মানসিক সমস্যা ছিল গৌতমবাবুর। শুক্রবার সকালে মধ্যমগ্রামে রেল লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। বিষয়টাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পরিবারকে বিষয়টা জানাতে গেলেই পুলিশের চক্ষুচড়কগাছ। দমদম পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মীর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় তাঁর স্ত্রী দেবিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মেয়ে দিশা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেহ। রক্তে ভেসে যাচ্ছে গোটা ঘর। ইতিমধ্যেই দেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ১৫ নয়, ১৮ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস পালিত হয় বাংলায় কয়েকটি জেলায়, জানেন কেন?]
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সম্ভবত বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারে কোনও সমস্যা ছিল। যা নিয়ে হয়তো অশান্তি চলছিল। সেই রাগেই স্ত্রী ও মেয়েকে গলা কেটে খুন করেন গৌতমবাবু। তারপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে চলে আসেন মধ্যমগ্রাম। ঝাঁপ দেন হাবড়া লোকালের সামনে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার শিকড়ে পৌঁছতে মৃতের প্রতিবেশীদের জেরা করা হবে।
