shono
Advertisement

ঝুলছে বাবা, মেঝেতে মায়ের দেহ! দম্পতির রহস্যমৃত্যুতে বাকরুদ্ধ সন্তান

আত্মহত্যা নাকি খুন করা হয়েছে দম্পতিকে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
Posted: 11:42 AM Oct 27, 2019Updated: 11:43 AM Oct 27, 2019

রিন্টু ব্রহ্ম, কালনা: আম গাছ থেকে ঝুলছে বাবার দেহ। ঘরের মেঝেতে নিথর অবস্থায় পড়ে রয়েছেন মা। এমন দৃশ্যে বাকরুদ্ধ ছেলে। পূর্ব বর্ধমানের নারকেলডাঙার দম্পতির মৃত্যু কীভাবে হল তা এখনও জানা যায়নি। আত্মহত্যা নাকি খুন করা হয়েছে তাঁদের, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। নাদনঘাট থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

Advertisement

পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাট থানার অন্তর্গত গোপীনাথপুরের নারকেলডাঙার বাসিন্দা ধীরেন বসাক ও আলো বসাক। তাঁদের একটি সন্তানও রয়েছে। শনিবার দুপুরে বাড়ি থেকে বেরোন তাঁর ছেলে বিশ্বজিৎ। কিছুক্ষণ পর ফিরে তিনি দেখেন বাড়ির সামনে আমগাছে ঝুলছে বাবা ধীরেন বসাকের দেহ। ঘরে দৌড়ে ঢুকতে গিয়ে দেখেন মেঝেতে পড়ে রয়েছেন মা। তিনি বুঝতে পারেন ততক্ষণে মা-ও মারা গিয়েছেন। বিশ্বজিতের চিৎকারে পাড়া-প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে যান। তাঁরাও দম্পতির নিথর দেহ দেখে অবাক হয়ে যায়। খবর দেওয়া হয় থানায়। নাদনহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই দম্পতির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।

স্থানীয়দের দাবি, দম্পতির মধ্যে প্রায়ই সাংসারিক বিবাদ হত। এমনকী ধীরেনবাবু তাঁর স্ত্রীকে মেরে আত্মঘাতী হওয়ার হুমকিও দিতেন। এদিন ধীরেনবাবুর ভ্রাতৃবধূ পম্পা বসাক বলেন,”আমাদের সঙ্গে তেমন ভাল সম্পর্ক ছিল না। তবুও আমরা দেখেছি দুজনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত। ভাসুর-জাকে মেরে গলায় দড়ি দেবে বলে হুমকিও দিত। এদিন ভোরেও তাঁদের মধ্যে তুমুল ঝগড়ার আওয়াজ শুনেছি। তারপর কী ঘটেছে জানি না।” তিনি দাবি করেন, এদিন ভোরে তাঁর মেয়ে চুঁচুড়ায় পড়তে যাচ্ছিল। তখন ওই দম্পতিকে ঝগড়া করতে শুনেছেন। একটু বেলা বাড়তেই তাঁদের দেহ দেখতে পায় ছেলে।”

[আরও পড়ুন: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ‘র‌্যাগিং’, কাঠগড়ায় বেশ কয়েকজন প্রাক্তনী]

পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গ্রামীণ) ধ্রুব দাস বলেন,”এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দু’টি দেহই উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। দুজনেরই মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা চলছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement