সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাত মাস পর দাখিল হল রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ডের চার্জশিট। 'হানিমুন মার্ডার' নামে পরিচিত হয়ে ওঠা এই মামলায় আদালতে ৭০০ পাতার চার্জশিট দাখিল করল মেঘালয় পুলিশ। চার্জশিটে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় নিয়ে গিয়ে স্বামী রাজাকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁর স্ত্রী সোনম রঘুবংশী এবং সোনমের প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, রহস্যের জট কাটাতে তাঁদের সাহায্য করেছে একটি কালো রঙের ট্রলিব্যাগ।
গত ২৩ মে মেঘালয় থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন রাজা এবং সোনম। নিখোঁজ হওয়ার দশ দিন পরে ২ জুন চেরাপুঞ্জির জলপ্রপাতের ধার থেকে রাজার দেহ উদ্ধার করা হয়। এরও বেশ কয়েকদিন পর উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সোনমকে। মেঘালয় পুলিশ জানিয়েছিল, সোনম আত্মসমর্পণ করেছেন। রাজার খুনে তিনিই মূল অভিযুক্ত। এ ছাড়া, তাঁর প্রেমিক রাজ এবং কয়েক জন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রেমিক রাজের সঙ্গে যৌথভাবে পরিকল্পনা করে স্বামী রাজাকে খুন করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। চার্জশিটে বলা হয়েছে, রাজার সঙ্গে মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ার আগেই নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস একটি কালো ট্রলিব্যাগে ভরে প্রেমিক রাজকে দিয়ে গিয়েছিলেন সোনম। মেঘালয় পুলিশের দাবি, এই ঘটনাই প্রমাণ করে যে, স্বামীকে মেঘালয়ে খুন করার পর রাজের সঙ্গে সংসার গড়ার পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন সোনম। সেই মতোই রাজাকে খুন করতে পরিকল্পনামাফিক তিন বন্ধু রোহিত চৌহান, আনন্দ কুর্মি এবং আকাশ সিং রাজপুতকে আগেই মেঘালয়ে পাঠিয়েছিলেন রাজ। মেঘালয় পুলিশের দাখিল করা চার্জশিটে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ে স্বামী রাজাকে খুনের নির্দেশ দিয়েছিলেন সোনমই। ঘাতকদের তিনিই বলেছিলেন, "এখানেই কাজটা সেরে ফেলো। পরে আর সুযোগ পাওয়া যাবে না।”
যদিও সাজনো গোটা নাটকটাই ভেস্তে যায় সোনমের। উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার পর প্রাথমিকভাবে নানা গল্প সাজালেও পরে সব স্বীকার করে নেন তিনি। গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে শিলংয়ের কারাগারেই বন্দি রয়েছেন সোনম ও তাঁর প্রেমিক এবং বন্ধুরা। চলতি সপ্তাহেও তাঁদের জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে শিলংয়ের একটি আদালত।
