ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: রাজ্যে আক্রান্ত আরও এক চিকিৎসক। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক জুনিয়র ডাক্তারের সোয়াব টেস্টে সম্প্রতি COVID-19 এর অস্তিত্ব মিলেছে। তিনি এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, চিকিৎসকের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। জ্বর কমেছে, তবে আরও কয়েকদিন চলবে চিকিৎসা।
সূত্রের খবর, বারাসতের বাসিন্দা ওই জুনিয়র চিকিৎসক কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত। কর্মক্ষেত্রের কাছেই একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন। কাজের চাপেই হোক বা অন্য যে কোনও কারণে তিনি গত তিন মাস ধরে বারাসতের বাড়িতে ফিরতে পারেননি। তারপর করোনা সংক্রমণের আবহে লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় তাঁর বারাসত যাওয়া আটকে গিয়েছে। এরই মধ্যে দিন কয়েক আগে তাঁর জ্বর হয়। করোনা হতে পারে, এই আশঙ্কায় সহকর্মীরা তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভরতি করান। সেখানে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভরতি রেখে চিকিৎসা চলছিল। তার মধ্যে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় সোয়াব টেস্টে। রিপোর্টে দেখা যায়, করোনা পজিটিভ এই চিকিৎসক। তারপর তাঁকে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করানো হয়। সেই হাসপাতাল সূত্রে খবর, চিকিৎসায় সাড়া দিয়ে সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: আগামী কয়েক ঘণ্টায় কলকাতা-সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস]
বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায় এই খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তাঁর এলাকার বাসিন্দা, কলকাতায় কর্মরত এক চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত। তবে তিনি বিগত তিন মাস ধরে বাড়ি ফেরেননি, তাই এক্ষুণি সংক্রমণের আশঙ্কায় তাঁর পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান। যদিও এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ আশেপাশের বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, ওই জুনিয়র ডাক্তার যে তিন মাস বাড়ি ফেরেননি, তার কোনও প্রমাণ নেই। পরিবারের দাবি কতটা সত্যি, তা নিয়ে তাঁদের সংশয় রয়েছে। তাই তাঁর পরিবারের সদস্যরা যে একেবারেই করোনা পজিটিভ রোগীর সংস্পর্শে আসেননি, সে বিষয়েও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। সেখান থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা আছে। তাই প্রতিবেশীদের দাবি, অবিলম্বে ওই বাড়িটিকে হোম কোয়ারেন্টাইন ঘোষণা করা হোক।
[আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় শামিল স্বনির্ভর গোষ্ঠী, পুরুলিয়ায় তৈরি হচ্ছে ‘ফেস শিল্ড’]
The post কলকাতায় কর্মরত অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত বারাসতের জুনিয়র ডাক্তার, এলাকায় আতঙ্ক appeared first on Sangbad Pratidin.
