শুভদীপ রায়নন্দী, শিলিগুড়ি: রাতের অন্ধকারে চিতাবাঘের (Leopard) হানা বাড়িতে। আক্রমণে জখম একই পরিবারের তিন সদস্য। এরপর বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে বুনোটি তাদের উপরও তেড়েফুঁড়ে হামলা চালায়। ওই সময় রেঞ্জার সঞ্জয় দত্ত গুলি চালালে চিতাবাঘটি মারা যায় বলে জানান প্রধান মুখ্য বনপাল বিনোদকুমার যাদব। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটে শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফাঁসিদেওয়া ব্লকের রাঙাপানি এলাকার ধোতিজোত গ্রামের ঘটনা।
এদিন চিতাবাঘের হামলার ঘটনা চাউর হতে এলাকায় আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসে। আত্মরক্ষার জন্য অনেকেই বাজি পোড়াতে শুরু করেন। মশাল জ্বালান বাড়ির উঠানে। সেই সঙ্গে শুরু হয় বাঘের খোঁজ। লাঠিসোটা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন বাসিন্দারা। কিন্তু সহজে মেলেনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন চিতাবাঘের হামলায় জখম হয়েছেন কমল সরকার, তাঁর ছেলে শুভ সরকার এবং শ্যালক দিবাকর সরকার। তিনজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভরতি করান।
[আরও পড়ুন: গরু ও কয়লা পাচার নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু ইডির, রাডারে একাধিক আধিকারিক]
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাতে আচমকা একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ গ্রামে ঢুকে পড়ে। স্থানীয়রা বাঘটিকে দেখে হইচই শুরু করলে আচমকা কমল সরকারের ঘরে ঢোকে। ওই সময় শুয়ে ছিলেন কমলবাবু। ঝাঁপিয়ে পড়ে বুনোটি। কমলবাবুর মুখে, ঘাড়ে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। তিনি আর্তনাদ করলে ছেলে এবং শ্যালক ছুটে যায়। ওই সময় চিতাটি তাঁদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাঁরাও জখম হন। এরপর গ্রামবাসীরা বাড়ি ঘিরে ফেলে। চিতাবাঘটি বিপদ বুঝে পাশের একটি ঘরে ঢুকে পড়ে। সুযোগ বুঝে বাইরে থেকে ঘর বন্ধ করে খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরে। খবর পেয়ে বাগডোগরা এবং ফাঁসিদেওয়া বনবিভাগের কর্মীরা (Forest Worker) এলাকায় যান। তাঁরা পৌছে চিতাটিকে জাল দিয়ে ধরতে গেলে বিপদ বাড়ে। বুনোটি বনকর্মীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ওই সময় বনদপ্তরের রেঞ্জার গুলি চালালে চিতাবাঘটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে ক্ষুব্ধ পশুপ্রেমীরা।