সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: বম্বিং গ্রাউন্ড থেকে ধাতব বস্তু কুড়িয়ে তামা বের করতে গিয়ে খুলতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। আহত হয়েছেন একই পরিবারের আরও তিনজন। বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণের পর পড়ে থাকা তাজা মর্টার ফেটে এই ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সোমবার এই ঘটনা ঘটেছে ঝাড়গ্রামের (Jhargram) সাঁকরাইল থানার আঙ্গারনালি গ্রামে।
ওই গ্রামের বাসিন্দা রামজীবন রানা ও তাঁর স্ত্রী মালতী, মেয়ে মেনকা, জামাই সুরজিৎ সোমবার সকাল সাতটা নাগাদ বম্বিং গ্রাউন্ডে থেকে ধাতব বস্তু কুড়িয়ে বাড়ি ফেরেন। তার মধ্যে একটি মর্টার ছিল। যেটি তাজা। বাড়িতে সেই মর্টার থেকে তামা বার করতে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটে। গুরুতর জখম হন রামজীবন রানা। তাঁকে ভাঙাগড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জখম হন আরও ৩ জন। আহতদের ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নিহত ব্যক্তির আত্মীয় পলাশ রানা বলেন, “বম্বিং গ্রাউন্ড থেকে কুড়িয়ে আনা ধাতব বস্তু ফেটে এই ঘটনা ঘটেছে।”
[আরও পড়ুন: মাধ্যমিকেও পুষ্পা রাজ! ‘আপুন লিখেগা নেহি,’ উত্তরপত্রে লিখল পরীক্ষার্থী, হতভম্ব শিক্ষক]
দুধকুণ্ডিতে রয়েছে কলাইকুন্ড এয়ার ফোর্সের বম্বিং গ্রাউন্ড। এখানে বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ চলে। গত দু-তিনদিন আগেও প্রশিক্ষণ চলেছে। বম্বিং গ্রাউন্ডে প্রবেশ নিষিদ্ধ। কিন্তু এখান থেকে মর্টার, কার্টিজ-সহ বিভিন্ন এই সব ব্যবহৃত জিনিসের ধাতব অংশ লুকিয়ে সংগ্রহ করেন স্থানীয় গ্রামের মানুষজন। এগুলি থেকে লোহা, তামা-সহ নানা ধাতু তারা বার করে বিক্রি করেন। এক থেকে দেড় কুইন্ট্যাল পর্যন্ত ধাতব বস্ত তারা সংগ্রহ করেন। পুলিশ জানিয়েছে, এটি সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে করা হয়ে থাকে। এই কাজে যথেষ্ট প্রাণের ঝুঁকি থাকে বলে জানা গিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই প্রশিক্ষণের সময় বেশ কিছু মর্টার বা কার্টিজ ফাটে না। এদিন তেমনই একটি তাজা মর্টার থেকে ধাতু বার করতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানায় পুলিশ। ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন “বম্বিং গ্রাউন্ডে কোনও মর্টার জাতীয় জিনিস ফেটে এই ঘটনা ঘটেছে। একজনের মৃত্যু হয়েছে। কয়েকজন আহতও হয়েছেন।”
এদিকে, বেলুড়ের (Belur) কারখানায় বিস্ফোরণে ছড়াল আতঙ্ক। এই ঘটনায় জখম ২ মহিলা-সহ চারজন। আহতরা প্রত্যেকে আন্দুল রোডের বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি। কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটল তা খতিয়ে দেখছে বেলুড় থানার পুলিশ। এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। আতঙ্কিত স্থানীয়রা।