সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী তথা মগরাহাট (পশ্চিম) বিধানসভার বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লাকে ফেসবুকে অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার উস্তি থানার পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।জানা গিয়েছে, উস্তি থানার ঘোলার বাসিন্দা জনৈক তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক সইদুল্লা শেখের অভিযোগের ভিত্তিতে এই গ্রেপ্তার।
সূত্রের খবর, ইমতিয়াজ কবীর নামে এক ব্যক্তি মন্ত্রীর ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। গিয়াস লস্কর নামে এক তৃণমূল সমর্থক সেই ছবি শেয়ার করেন। শেয়ার করা সেই ছবিতেই মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল ভাষায় নানা মন্তব্য করেন উত্তরকুসুমের মাঝেরহাটের বাসিন্দা পেশায় কোয়াক ডাক্তার জনৈক ডি জামান ওরফে বদরোজ্জামান মোল্লা। অভিযোগ পেয়েই অভিযুক্তকে ভোলেরহাটে তাঁর চেম্বার থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় এদিন দুপুরে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এলাকায়। অভিযোগকারীর দাবি, এদিন ওই কোয়াক ডাক্তারকে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তিনি কেন এধরণের মন্তব্য করেছেন জিজ্ঞেসা করতে গেলে তিনি তৃণমূল সমর্থকদেরও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তাঁদের প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মগরাহাট পশ্চিম ব্লকের তৃণমূল যুব সভাপতি ইমরান হাসান অভিযুক্তের আইনমাফিক শাস্তির দাবি করেন।
[আরও পড়ুন: মোটরবাইকে মুম্বই থেকে ভাঙড় ফিরলেন ব্যবসায়ী, প্রতিবেশীদের চাপে ঠাঁই কোয়ারেন্টাইনে]
যদিও নিজের করা মন্তব্যের জন্য পরে ক্ষমা চেয়ে নেন অভিযুক্ত ওই কোয়াক ডাক্তার। এ ব্যাপারে মন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘোর বিপর্যয়ে রাস্তায় নেমে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সৈনিক হিসেবে আমরাও সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। তা সত্ত্বেও যদি কেউ আমাদের বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করে তাহলে বলার কিছু নেই। কে কী বলল তা নিয়ে এখন অত মাথা ঘামানোরও সময় নেই আমাদের। তবে ওই ব্যক্তি ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন বলে শুনেছি। বোধহয় ওনার শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। ভুল বুঝতে পারায় ওঁকে ক্ষমা করে দিলাম।”
[আরও পড়ুন: সংক্রমক এলাকায় ব্যাংকের ঝাঁপ ফেলল পুলিশ, টাকা তুলতে না পেরে ক্ষুব্ধ বনগাঁবাসী]
The post সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফেসবুকে অশালীন মন্তব্য, আটক কোয়াক চিকিৎসক appeared first on Sangbad Pratidin.
