দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: রাতভর নির্মীয়মান আবাসনে আটকে রেখে অত্যাচারের অভিযোগ। সকালে পাচার করার চেষ্টার অভিযোগ। স্থানীয়দের তৎপরতায় ওই যুবতীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে হুগলির শ্রীরামপুরের (Sreerampur) সুকান্ত পল্লিতে ধুন্ধুমার। পুলিশ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
এক যুবতীকে পাচার করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে তোলপাড় শ্রীরামপুরের সুকান্ত পল্লি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় এক যুবক তার বাইকে দুই যুবতীকে বসিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎই এক যুবতী বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার করতে থাকেন। উপায়ন্তর না দেখে এক যুবতী চলন্ত বাইক থেকে লাফ দেন। স্থানীয়রা চোখের সামনে এই ঘটনা দেখে ওই বাইকটিকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে। জনতার হাতে ধরা পড়ার পর ওই যুবক নিজেকে সিবিআই অফিসার বলে দাবি করে। তাতে এলাকাবাসীর সন্দেহ হওয়ায় শ্রীরামপুর থানায় খবর দেয়। শ্রীরামপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুই যুবতী ও যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেয় জনতা।
[আরও পড়ুন: দুর্গাপুরে আচমকা কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে একযোগে কাজের বার্তা মমতার]
বুধবার সাত সকালে শ্রীরামপুরের একটি জনবহুল এলাকায় এই ধরনের ঘটনা ঘটায় রীতিমতো আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। অভিযোগকারী যুবতীর দাবি তাকে ওই যুবক-যুবতী দুজনে সারারাত একটি নির্মীয়মান আবাসনে আটকে রেখে অত্যাচার করে। তাঁর কাছে টাকা দাবি করে। এদিন সাতসকালে তাঁকে জোর করে বাইকে তুলে দিল্লি রোডের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ওই যুবতী বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করেন। বাইক থেকে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা ছুটে এসে তিনজনকেই হাতেনাতে ধরে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেল পর্যন্ত ধৃত তিনজনকেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পুলিশ জানিয়েছে ওই যুবক-যুবতী দু’জনে স্বামী-স্ত্রী। আর ওই যুবতী কলগার্লের কাজ করেন। দক্ষিণেশ্বর থেকে ওই যুবতীকে দম্পতি নিয়ে আসে বলে জানা গিয়েছে।