মনিরুল ইসলাম, উলুবেরিয়া: জাতীয় সড়কে ছিনতাইবাজের গুলিতে মৃত্যু ভিনরাজ্যের মহিলার। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বাগনানে (Bagnan)। কোনও ক্রমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন মৃতার স্বামী ও মেয়ে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃতার নাম রিয়া কুমারী। তাঁর স্বামী প্রকাশ কুমার। রাঁচির বাসিন্দা তাঁরা। বুধবার ভোরে ওই দম্পতি সন্তানকে নিয়ে ঝাড়খণ্ড থেকে গাড়িতে কলকাতা আসছিলেন। ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে হাওড়ার বাগনানের রাজাপুরের কাছে ঘটল ভয়ংকর কাণ্ড। সূত্রের খবর, পথে মহিষরেখা ব্রিজের কাছে গাড়ি দাঁড় করিয়ে শৌচকর্ম করতে গিয়েছিলেন প্রকাশ। সেই সময়ই তাঁর গাড়িতে হামলা করে ছিনতাইবাজেরা। রিনা কুমারির থেকে জিনিস হাতানোর চেষ্টা করে। অভিযোগ, বাধা পেয়ে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে বধূকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা।
[আরও পড়ুন: ‘গণতন্ত্র বাঁচাতে’ বিমল গুরুং-অজয় এডওয়ার্ডের সঙ্গে একমঞ্চে বিনয় তামাং, দিলেন দলছাড়ার ইঙ্গিত]
প্রকাশ ফিরে এসে দেখেন রক্তে ভেসে যাচ্ছে গাড়ি। তড়িঘড়ি স্ত্রীকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান প্রকাশ। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই যুবক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। চোখের সামনে মায়ের এই পরিণতি রীতিমতো আতঙ্কিত দম্পতির শিশুকন্যা।
এই ঘটনার জন্য রাজ্যকেই দায়ী করেছেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “বাংলায় আইন নেই। পুলিশ আমজনতার পাশে নেই। পুলিশের কাজ তৃণমূল নেতাদের সুরক্ষা দেওয়া। অনুব্রত মণ্ডলের মতো লোকদের নিরাপত্তা দেওয়া। মমতার কথা মতো দুষ্কৃতীদের নিরাপত্তা দিচ্ছে, যার মাশুল গুনছে সাধারণ মানুষ।” পালটা তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “জনবিচ্ছিন্ন একটা দল, এদের কাজ শুধুই জলঘোলা করা। বাগনানের ঘটনাটা নিন্দনীয়। তদন্ত হবে।”