ধীমান রায়, কাটোয়া: অজ্ঞাত উৎসস্থল থেকে দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে! শোরগোল পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিল জেলা প্রশাসন। কাটোয়ার মহকুমা শাসক সৌমেন পাল জানিয়েছেন, ‘আমরা ঘটনার কথা শুনেছি। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে খোঁজখবর করতে বলা হয়েছে। এখনও রিপোর্ট পায়নি।’ এদিকে এই ঘটনার পর কেতুগ্রামের গঙ্গাটিকুরির ওই দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পাসবুক আপডেট করানোর হিড়িক পড়ে গিয়েছে।
[ কেতুগ্রামে জনধন অ্যাকাউন্টে ঢুকছে হাজার হাজার টাকা, ধন্দে গ্রাহকরা]
কারও অ্যাকাউন্টে সাড়ে তিন হাজার, তো কারও অ্যাকাউন্টে ২৫ হাজার টাকা। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের চারশো জন গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে রাতারাতি মোটা অঙ্কের টাকা ঢুকেছে। কিন্তু, এত টাকা এল কোথা থেকে? ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, কোথা থেকে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে, সে বিষয়ে তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই। স্রেফ উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এআইসি’ থেকে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে টাকা ক্রেডিট করা হয়েছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের অনুমান, এগ্রিকালচার ইনসিওরেন্স কোম্পানি থেকেই সম্ভবত টাকা ঢুকেছে। অর্থাৎ কৃষিবিমার টাকা পেয়েছেন গ্রাহকরা। কিন্তু সেক্ষেত্রে তো যাঁরা আবেদন করেছেন, শুধু তাঁদেরই টাকা পাওয়ার কথা। কেতুগ্রামে গঙ্গাটিকুরির দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শাখায় এমন অনেকের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে, যাঁদের জমিই নেই! জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ঘটনার তদন্তে নামল পুলিশ।
প্রশাসন সূত্রে খবর, সমবায় ব্যাংক ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক মারফত কৃষিবিমার টাকা দেওয়া হয়। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের তালিকা চেয়ে পাঠায় প্রশাসন। তবে সমবায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে অবশ্য সরাসরি বিমার টাকা দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সমবায় ব্যাংকই হোক কিংবা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, কৃষিবিমার জন্য আগাম আবেদন করতে হয় কৃষকদের। আবেদন না করলে টাকা পাওয়ার কথা নয়। তাহলে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে কৃষিবিমার টাকার জন্য কি ভূতুড়ে আবেদন জমা পড়েছিল? তাই জন্যই জমি না থাকা সত্ত্বেও গ্রাহকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে প্রশাসনিক মহলে।
[প্যাঙ্গোলিনের আঁশ পাচার, আরপিএফের হাতে ধৃত এক]
The post কৃষিবিমার ‘ভূতুড়ে’ আবেদনেই কি টাকা ঢুকল ব্যাংকে? তদন্তের নির্দেশ জেলা প্রশাসনের appeared first on Sangbad Pratidin.
