রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: স্প্রে করা নিয়ে শ্রমিক ও মালিকপক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে বন্ধই হয়ে গেল চা বাগান। রাতারাতি বাগান ছেড়ে চলে গেল মালিকপক্ষ। সপ্তাহের প্রথম দিন সকালে কাজে গিয়ে সাসপেনশন অফ নোটিস দেখে মাথায় হাত শ্রমিকদের। আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) তাসাটি চা বাগানে এক রাতের নোটিসে কর্মহীন হলেন ১২০০ শ্রমিক। পুজোর আগে এভাবে কাজ হারিয়ে তাঁরা হতাশ।
জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে বীরপাড়া-মাদারিহাট ব্লকের তাসাটি চা বাগানে (Tea Garden)স্প্রে করা নিয়ে শ্রমিকদের (Labourers) সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল মালিকপক্ষের। সেই দ্বন্দ্ব যে এতদূর গড়াবে, তা কেউ ভাবতে পারেননি। অথচ সোমবার ঘটল তেমনটাই। যা জেরে বাগানে কাজ বন্ধের নোটিস দিয়ে রাতারাতি বাগান ছেড়ে চলে গেল মালিকপক্ষ। আর কর্তৃপক্ষ চলে যাওয়ায় বাগান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল। খোলার আশা প্রায় নেই বললেই চলে।
[আরও পড়ুন: ‘২০২৪ লোকসভা ভোটে হারের পর বিদেশে ঠাঁই নেবেন মোদি’, কটাক্ষ লালুর]
সকালে কাজে গিয়ে শ্রমিকরা দেখেন, চা বাগানের গেটে বিশাল তালা। সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের (Suspension of work) নোটিস ঝোলানো। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন শ্রমিকরা। কীভাবে রোজগার হবে, সেই চিন্তায় মগ্ন তাঁরা। শ্রমিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, পুজোর আগে থেকে এভাবে চা বাগান বন্ধ হওয়া খারাপ ইঙ্গিত। এক রাতে কর্মহীন হয়ে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষকেই দুষছেন তাঁরা। শ্রমিক তিলাপাতি ওঁরাও বলেন, ”আমি সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ কাজ করতে আসি। এসে দেখি, বাগানের গেটে তালা দেওয়া। সবাইকে ডাকি। বলি, তালা খুলতে, আমরা কাজ করব। তখন বাগানের একজন লোক বেরিয়ে এসে বলে যে বাগান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আর কাজ হবে না। মালিকরা সব চলে গিয়েছে। এভাবে কাজ হারাতে হবে, ভাবতে পারিনি। ভীষণ চিন্তায় পড়লাম।”
