ধীমান রায়, কাটোয়া: বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন কিশোরীকে ভয় দেখিয়ে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ জামাইবাবুর বিরুদ্ধে। যার জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল ওই কিশোরী। গর্ভস্থ ভ্রুণের মৃত্যু হওয়ায় তা বের করতে গিয়েই বিপত্তি। প্রাণ গেল নাবালিকার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল পূ্র্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে। অভিযুক্ত জামাইবাবুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের বাসিন্দা ওই নাবালিকা। দীর্ঘদিন ধরে জামাইবাবু সুজন সর্দার তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। যার জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে নাবালিকা। পরিবারের লোকজন যখন জানতে পারেন, তখন গর্ভের সন্তান মারা গিয়েছে। ওই পরিস্থিতিতে ভ্রুণটিকে বের করা ছিল অনিবার্য। সেই কারণে নাবালিকাকে বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় নাবালিকার। এরপরই মৃত কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে আউশগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
জানা গিয়েছে, ধৃতের বাড়ি মঙ্গলকোটের খুর্তুবা গ্রামে। আউশগ্রামে ঘরজামাই থাকত সে। মৃত কিশোরীর জেঠুর মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে সুজনের। মৃতার দাদা বলেন," আমরা প্রথমদিকে ঘটনার কথা জনতাম না। বুধবার আমার বোনের পেটে যন্ত্রণা হলে আউশগ্রামের জামতাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চিকিৎসকরা তখনই বুঝতে পারেন বোন প্রায় চারমাসের অন্তঃসত্ত্বা এবং গর্ভের সন্তান মারা গিয়েছে। কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসক জবাব দেওয়ার পর বর্ধমানে নিয়ে গিয়ে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। বাড়িতে নিয়ে আসার পর রাতে অল্প খাওয়াও করে ওই কিশোরী। অচৈতন্য হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।"