shono
Advertisement

দশ বছর পর দামোদর থেকে মাথা তুলছে মন্দির, ছড়াচ্ছে গুপ্তধনের গল্পও

জলের ভিতর প্রাচীন নির্মাণের অংশ দেখে চাঞ্চল্য তারকেশ্বরের গ্রামে৷ The post দশ বছর পর দামোদর থেকে মাথা তুলছে মন্দির, ছড়াচ্ছে গুপ্তধনের গল্পও appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 09:57 AM Mar 24, 2017Updated: 04:27 AM Mar 24, 2017

দিব্যেন্দু মজুমদার: তারকেশ্বর থানার কেশবচক গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে খরস্রোতা দামোদর৷ কড়া রোদ এড়াতে মাথায় ছাতা দিয়ে পা চালান বুড়ো মাস্টারমশাই৷ কাঁড়ারিয়া ব্রিজ পার হতে গিয়ে থমকে দাড়িয়ে পড়েন৷ “জলের মাঝখানে ওটা কী? কুমির নাকি?”

Advertisement

চোখ কচলে দেখতেই পরিষ্কার৷ দামোদরের বয়ে চলা জলরাশিকে চিরে বেড়িয়ে আসছে মন্দিরের চুড়ো৷ পুরনো ইট সুড়কির গাঁথনি৷ মাথায় ছোট্ট ত্রিশূল৷ হলদেটে হয়ে যাওয়া ইট৷

[ফের দায়ের অভিযোগ, শ্রীজাতর পাশে থাকার আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর]

দোলপূর্ণিমার সময় থেকেই কেশবচকের দামোদরের গর্ভ থেকে প্রাচীন মন্দিরের অস্তিত্ব উঁকি দিতে শুরু করেছিল৷ যত দিন যাচ্ছে ধীরে ধীরে নদীর অতল থেকে তা উঠে আসছে৷ ইতিমধ্যে জলের উপরে তিনফুট উঠে এসেছে৷ রোজই একটু একটু করে বাড়ছে মন্দিরের চূড়ো৷ দেবালয় জাগতে দেখে সাড়া পড়ছে লোকালয়েও৷ রাস্তা পেড়োতে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ছেন পথচারীরা৷ কপালে হাত ঠেকাচ্ছেন৷ ছুটে আসছেন অনেকে৷ পয়সা ছুড়ে দিচ্ছেন৷ জলে পাথর ফেলে মানতের পালা চলছে৷ মুখে মুখে ঘুরছে নানা গল্প৷ চলে এসেছে গুপ্তধন প্রসঙ্গও৷ স্থানীয় ছেলেরা স্নান করতে নেমে ডুব দিয়ে দেখে এসেছেন মন্দিরের হাল-হকিকত৷ “দুটো গেট রয়েছে৷ একটায় তালা লাগানো৷ কোনও ঠাকুরের মূর্তি দেখলাম না৷” ভিজে সপসপে হয়ে জানিয়েছে গ্রামের ছেলেপুলেরা৷

বছরভর দামোদর জলে টইটম্বুর৷ ডিভিসি জল ছাড়লে দু’কূল ভেসে যায়৷ সেখানে আচমকা জল ফুঁড়ে মন্দির উঠল কীভাবে?

তারকেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধ্যক্ষ সুলেখা মাইতি জানিয়েছেন, দশ বছর আগে একবার এই মন্দিরের চূড়ো দেখা গিয়েছিল৷ আর দেখা যায়নি৷ ফের এ’বছর উঠে এসছে মন্দির৷ গ্রামের বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা জানিয়েছেন, বহু বছর আগে এ গ্রামে অনেক পুরোহিতের বাস ছিল৷ তাঁরা বিস্তর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিল৷ পরবর্তীকালে দামোদর দিক পরিবর্তন করলে জলের গর্ভে চলে যায় এই মন্দিরগুলি৷ পুরনো সে মন্দিরই কী ফের মাথা তুলছে

আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অবসরপ্রাপ্ত ডিরেক্টর তপনজ্যোতি বৈদ্য জানিয়েছেন, মন্দিরের চূড়ার শৈলি দেখলেই আন্দাজ করা সম্ভব সেটি ঠিক কোন আমলের৷ পাল, সেন প্রতিটি বংশের স্থাপত্যের আলাদা আলাদা কারুকার্য রয়েছে৷ হতেই পারে মন্দিরটির ঐতিহাসিক ভিত্তি রয়েছে৷ গ্রামের অনেক মানুষই চান পুরাতত্ব বিভাগ এই অঞ্চলে খনন কার্য চালাক৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের মত, “কাঁড়ারিয়া গ্রামের ঐতিহাসিক ভিত্তি রয়েছে৷ যদি মাটি খুঁড়ে কোনও কিছু উদ্ধার করা যায় তবে আর পাঁচটা গ্রাম কাঁড়ারিয়ার নাম জানবে৷ আমরা চাই ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিক এই গ্রাম৷”

[কে ডি সিংকে দলে নেওয়া ব্লান্ডার  হয়েছে: মুখ্যমন্ত্রী]

The post দশ বছর পর দামোদর থেকে মাথা তুলছে মন্দির, ছড়াচ্ছে গুপ্তধনের গল্পও appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement