সুমন করাতি, হুগলি: সম্পর্কের টানাপোড়েনে খুন নাকি অন্য কিছু? আরামবাগে দুধের শিশুর পাশ থেকে মায়ের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এখনও রহস্যের জট। এই ঘটনার পর থেকে তাঁর দ্বিতীয় স্বামীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ওই ব্যক্তিই কি এই ঘটনায় কোনওভাবে জড়িত, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃতার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা।
মৃত সাবিনা বেগম, হুগলির আরামবাগের(Arambagh) আজাদ পল্লির বাসিন্দা। বছর দশেক আগে বিয়ে হয় তরুণীর। সে বিয়ে অবশ্য বেশি দিন টেকেনি। প্রথম স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হওয়ার পর বাপের বাড়িতে চলে আসেন। সাবিনার জীবনে আবারও প্রেম আসে। পরিবারের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয়বার বিয়েও করেন তিনি। সন্তানের মা হন। গত ১৬ জুলাই, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের এনায়েত পল্লিতে বাড়ি ভাড়া নেন। সেখানে থাকছিলেন। অন্যান্য ভাড়াটিয়াদের দাবি, ঘরের দরজা সারাক্ষণ বন্ধ করেই রাখতেন সাবিনা। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথাবার্তা তো দূর অস্ত। কারও সঙ্গে দেখাও হত না মহিলার।
[আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টি, উত্তাল সমুদ্র, দক্ষিণবঙ্গে প্রবল দুর্যোগের আশঙ্কা]
রবিবার ওই মহিলার ঘর থেকে একনাগাড়ে খুদের কান্না শুনতে পান প্রতিবেশীরা। দরজা ধাক্কা দেন তাঁরা। তা সত্ত্বেও কেউ সাড়াশব্দ দেননি। খবর দেওয়া হয় আরামবাগ থানায়। আইসি রাকেশ সিংয়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘরের দরজা খুলতে কার্যত তাজ্জব হয়ে যান তাঁরা। দেখেন ঘরের ভিতর ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বহু জিনিসপত্র।
তারই মাঝে ওই মহিলার দেহ পড়ে থাকতে দেখেন প্রতিবেশীরা। ঠিক তাঁর পাশ থেকেই সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় মহিলার সন্তানকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে ওই মহিলাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। তবে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।