সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোরিনা ক্রসিংয়ের পর এবার আরামবাগের গোঘাট (Goghat)। ফের উলটে গেল বিয়েবাড়ির বাস। জখম অন্তত ৪০ জন যাত্রী। তাঁরা ভরতি হাসপাতালে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা থেকে হুগলির খানাকুলে যাচ্ছিল ওই বাসটি (Bus)। তাতে ছিলেন কমপক্ষে ৪০ জন কনেযাত্রী। আরামবাগের গোঘাটের কাছে বাসটি উলটে যায়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসের যাত্রীদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেন স্থানীয়রাই। উদ্ধার হন ৪০ জন। কমবেশি সকলেই জখম হন। প্রত্যেককে উদ্ধার করে কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তবে ২ জনের অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক। তাই তাঁদের আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, পুরনো টায়ারে বাসটি চালানোর ফলে এই বিপত্তি।
[আরও পড়ুন: ফের বেপরোয়া গাড়ির দৌরাত্ম্য, কাঁকুড়গাছিতে ম্যাটাডোরের চাকায় পিষ্ট মহিলা]
এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি ডোরিনা ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বরযাত্রী বোঝাই বাস। মিনিবাসটি মধ্য কলকাতার এস এন ব্যানার্জি রোড ধরে যাচ্ছিল। ধর্মতলার মোড়ে আসার মুহূর্তেই প্রচণ্ড শব্দ করে ফুটপাথের রেলিং ভেঙে ভিতরে ঢুকে একদিকে কাত হয়ে উলটে যায়। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীরা ছুটে আসেন। শুরু হয় উদ্ধারকার্য। বাসের পিছনের অংশ গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে একের পর এক রক্তাক্ত শিশু ও মহিলা-সহ যাত্রীদের বের করা হয়। এসএসকেএম হাসপাতাল পাঠানো হয় মোট ২৭ জনকে।
এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। ‘পলাতক’ বাসচালকের খোঁজ শুরু হয়। হাওড়া স্টেশনের প্রিপেড ট্যাক্সি বুথের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, স্টিয়ারিংয়ে গণ্ডগোলের জেরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলেই জেরায় জানিয়েছে সে। দুর্ঘটনার পর কলকাতার সব ‘আনফিট’ বাসের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে বলেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মোটর ভেহিক্যালসকেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন তিনি। এরপরই নড়েচড়ে বসে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ।