নন্দন দত্ত, সিউড়ি: আদালতে আত্মসমর্পণ করতে এসে পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ল এক অভিযুক্ত। আইনজীবীদের হেফাজতে থাকা ওই অভিযুক্তকে জোর করে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন পুলিশের এক তদন্তকারী অফিসার। শেষে আইনজীবীদের বাধায় তা সফল হয়নি। পাশাপাশি পুলিশের ওই অফিসারকে ডেকে তাকে সতর্ক করেন বিচারক। যদিও দোষ স্বীকার করায়, চাকরির শুরুতেই এমন ঘটনায় জড়িয়ে পড়ায় আইনজীবীরা এ নিয়ে আর উচ্চবাচ্য করেননি।
[পঞ্চায়েতে ই-মনোনয়ন নিয়ে মামলা, রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তিরস্কার সুপ্রিম কোর্টের]
প্রতিবেশীকে খুনের চেষ্টা। ঘটনাটি ঘটে সিউড়ি ডাঙ্গালপাড়ায় দিন সাতেক আগে। প্রতিবেশী উদয়শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধারালো অস্ত্র নিয়ে রমেশ মাল প্রাণে মারতে যান বলে অভিযোগ। সেই মর্মে সিউড়ি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন উদয়বাবু। মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্ত রমেশ মাল আইনজীবীদের মাধ্যমে সিউড়ি আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আসেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে সিউড়ি আদালত হেফাজতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তদন্তকারী অফিসার প্রেমজিৎ সিনহা রমেশ পালকে আদালত হেফাজত থেকে বের করে মারধর করে সিউড়ি থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তাকে কেন্দ্র করে পুলিশ অফিসারের সঙ্গে আইনজীবীদের আদালত চত্বরেই বচসা শুরু হয়ে যায়। অভিযুক্তকে শেষ পর্যন্ত থানায় নিয়ে যেতে পারেননি ওই তদন্তকারী অফিসার। খবর জানাজানি হতেই বিচারক ডেকে পাঠান ওই তদন্তকারী পুলিশ অফিসারকে সেখানেই তাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। লজ্জায় টুপিতে মুখ ঢেকে আদালত চত্বর ছাড়ে পুলিশ অফিসার। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় জানান, ‘আজ পুলিশ যে কাজ করেছে সেটা অনৈতিক। আদালত থেকে এভাবে কোনও অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারে না। তবে পুলিশ নিজের অপরাধ বুঝতে পারায় আমরা আর বেশিদূর এগোয়নি।’
[মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, কলেজে ভরতি প্রক্রিয়া পরিদর্শনে দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার]
ছবি: বাসুদেব ঘোষ
The post আত্মসমর্পণ করতে এসে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি অভিযুক্তর, বাধা দিলেন আইনজীবীরা appeared first on Sangbad Pratidin.
