চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নামাঙ্কিত ফলকে লাথি মেরে ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে। ফলক ভাঙার ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এই ঘটনা সামনে আসার অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে আসানসোল উত্তর থানায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা। বাবুল সুপ্রিয় নিজেই ওই ছবিটি টুইটে পোস্ট করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বাবুল সুপ্রিয়র সাংসদ তহবিলে তৈরি রাস্তার নামফলক উপড়ে ফেলা হয় আসানসোলের চাঁদমারি শ্রীনগর এলাকায়।
বাবুল সুপ্রিয় টুইট করে জানিয়েছেন, আসানসোল পুরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর সাংসদ কোটার ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তাটি তৈরি হয়েছিল। সেই রাস্তায় তাঁর নামাঙ্কিত একটি ফলক লাগানো হয়েছিল। বাবুলের প্রশ্ন এই নামফলকে স্থানীয় বাসিন্দাদের যেখানে কোনও আপত্তি নেই সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের কীসের আপত্তি। ফলকটি লাথি মেরে উপড়ে ফেলার পর ক্ষোভ উগরে দেন বাবুল। তিনি তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের রাজনীতির ক্যানসার বলে অভিহিত করেছেন।
[ চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ, রোগীমৃত্যুতে কাঠগড়ায় কর্তব্যরত আয়া ]
জেলার বিজেপির সহ-সভাপতি তথা লোকসভার দলীয় আহ্বায়ক বলেন, “সাংসদ তহবিলের টাকায় রাস্তাগুলিতে সরকারি নিয়মে ফলক লাগানোর কথা। কত টাকা বাজেট, কোন তহবিল, কতটা রাস্তা এগুলি ফলকে উল্লেখ থাকে। যেন সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেন। কিন্তু পুরনিগম থেকে তা করা হচ্ছে না। ফলে সাংসদ নিজে উদ্যোগ নিয়ে ফলকগুলি লাগিয়েছেন। কিন্তু তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাবুল সুপ্রিয়র নামাঙ্কিত ফলক ভেঙে দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, আসানসোল উত্তর এলাকা এবং কুলটিতেও এভাবে ফলক ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমরা অপরাধীদের চিহ্নিত করতে পেরেছি। পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানিয়েছি।” তৃণমূল জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের ফলক তুলে ফেলার প্রয়োজন নেই। আসানসোলবাসী সাংসদকে উপড়ে ফেলছেন মন থেকে। তাঁর বোঝা উচিত বার্ন স্ট্যান্ডার্ড ওয়াগন কারখানা, হিন্দুস্থান কেবলস কারখানা বন্ধ করার পর মানুষ ওনার সঙ্গে নেই। সাধারণ মানুষ বাবুলের নাম দেখলেই রেগে যাচ্ছেন তাই ফলক উপড়ে দিয়েছেন। এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও হাত নেই।”
[ অস্থায়ী শিবিরে ভয়াবহ আগুন, পুরুলিয়ায় মৃত ৭ ]
The post বাবুলের নামাঙ্কিত ফলক লাথি মেরে ভেঙে ফেলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে appeared first on Sangbad Pratidin.
