চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: বাবুল সুপ্রিয়র নেতৃত্বাধীন বিজেপির মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল আসানসোলের বারাবনির আমডিহা মোড়। মিছিল আটকাতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি সমর্থকদের ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়। অভিযোগ, লাঠি নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায় বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশও। এই ঘটনায় বেশ কয়েক জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিন নুনি মোড় থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় নেতৃত্বে মোটর বাইক ব়্যালি শুরু হয়। এরপর মিছিল যখন আমডিহা মোড়ে পৌছয় তখন সেটি আটকায় পুলিশ। বাবুল সুপ্রিয়র নেতৃত্বধীন ওই মিছিল আটকাতে গেলেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় বিজেপি কর্মীদের। অভিযোগ, সেই সময় নাকি তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় ভাঙে বিজেপি। তবে বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এছাড়া হাওড়ার সাঁকরাইল ও হাওড়া সিটির কদমতলা মোড়ে বিজেপির মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার হয়। গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়েন লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। পুলিশের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে ৪০০ বিজেপি কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
[ পণের দাবিতে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ, দুপক্ষের সংঘর্ষে মৃত ১ ]
আগে আইনি জটিলতায় বাতিল হয়েছিল বিজেপির রথযাত্রা কর্মসূচি। গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রার ক্ষেত্রেও ক্রমাগত বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল বিজেপিকে। এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মাঝে বিজয় সংকল্প বাইক ব়্যালি বের করার পরিকল্পনা করে গেরুয়া শিবির। যদিও উচ্চমাধ্যমিকের কারণে সেই মিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। পরে রবিবার সকালে বিজেপির বাইক মিছিলের কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় জেলায় জেলায়। কলকাতার বিভিন্ন এলাকাতেও পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিজেপি কর্মীদের। দুর্গাপুরে মিছিলের উদ্বোধন করতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, “রাজ্যজুড়ে লক্ষাধিক বিজেপি কর্মী-সমর্থক বাইক নিয়ে বেরোবেন। আমরা দেখতে চাই, কতজনকে পুলিশ আটক করতে পারে। যেসব পুলিশ কর্মী মিছিল আটকাচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ জানাব।”
ছবি- মৈনাক মুখোপাধ্যায়
[ গরুচোর সন্দেহে ফের গণপিটুনির শিকার এক ব্যক্তি ]
