সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: পঞ্চায়েত ভোট মিটেছে প্রায় এক মাস হতে চলল। এখনও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্ধার হচ্ছে ভোটার কার্ড। কোথাও মিলছে ব্য়ালট বাক্স। বুধবারও উত্তর ২৪ পরগনায় গোপালনগরের পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর ভোটার কার্ড। আবার মগরাহাটের পুকুরে জাল ফেলতেই মিলেছে তিন-তিনটি ব্যালট বাক্স। দু’টি ঘটনা ঘিরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
বুধবার সকাল দশটা নাগাদ ভোটার কার্ড উদ্ধারের ঘটনাটি ঘটেছে গোপালনগর থানার দক্ষিণ সুন্দরপুর গ্রামে ৷ এদিন সকালে পুকুরের মালিক নজরুল মণ্ডল মাছ ধরবেন বলে পুকুরে জাল ফেলেন। তখনই তাঁর জালে একটি ভোটার কার্ডের বান্ডিল ওঠে ৷ খবর পেয়ে পুলিশ এসে সেটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় ৷ ওই বান্ডিলটির মধ্যে ১৮টি ভোটার কার্ড ছিল। যার মধ্যে স্থানীয় এবং বিভিন্ন এলাকার মানুষের পরিচয়পত্র রয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন ৷
[আরও পড়ুন: পাঁচ মাসে নবম! কুনো জাতীয় উদ্যানে ফের মৃত্যু চিতার]
বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভোটার কার্ডগুলি শাসকদলের লোকজন নিজেদের কাজে ব্যবহার করে পরে পুকুরে ফেলে দিয়েছে ৷ বিরোধীদের অভিযোগ, যেভাবে এবার ভোট হয়েছে ব্যালট পেপার ফেলে দেওয়া হয়েছে। ব্যালট বাক্স ও জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। শাসকদলের লোকেরা তেমনই কোনও কাজে ব্যবহার করার জন্য এই ভোটার কার্ডগুলি এনে পরে ফেলে দিয়েছে ৷
অন্য আরেকটি ঘটনায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট (পশ্চিম) বিধানসভার কেন্দ্রের নেতড়ায় হাই স্কুলের পাশের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার তিনটি ব্যালট বাক্স উদ্ধার হয়েছে। আজ সকালে ওই পুকুরে জাল ফেলে মাছ ধরছিলেন কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। জাল ফেলতে ফেলতে হঠাৎই তাঁদের বেশ ভারী লাগে জালটি। বড় মাছ জালবন্দি করতে পেরেছেন ভেবে খুশিতে আত্মহারা হন তাঁরা। জাল টেনে তুলতেই চক্ষু চড়কগাছ। দেখেন, মাছ কোথায়! জালে আটকে রয়েছে তিনটি ব্যালট বাক্স। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই পুকুরপাড়ে এসে দলে দলে ভিড় করেন গ্রামের মানুষ। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পুলিশ ও প্রশাসনকে খবর দেওয়া হয়েছে। আপাতত উদ্ধার হওয়া ব্যালটবক্স তিনটি গ্রামবাসীদের জিম্মাতেই রয়েছে। প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ব্যালট বাক্সগুলি প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন।
