দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ম্যানেজারের রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল বলাগড়ে। শনিবার সকালে বলাগড়ের শ্রীপুরে একটি বন্ধ ঘরের ভিতর অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় ওই ম্যানেজারকে। তাঁকে উদ্ধার করে জিরাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত ওই ম্যানেজারের নাম অরিজিৎ সরকার (৪৫)। তিনি বলাগড়ের শ্রীপুরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ম্যানেজার। শ্রীপুরে ব্যাংকের কাছেই তিনি একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে বাস করতেন।
[আবাসিক হোমে নাবালিকাদের উপরে যৌন নির্যাতন, গ্রেপ্তার ৩]
শনিবার সকালে অরিজিৎবাবু ব্যাংকে না যাওয়ায়, তাঁর সহকর্মীরা মোবাইলে ফোন করেন৷ কিন্তু বারংবার ফোন করে কোনও উত্তর পাননি। এরপরই ব্যাংকের দুই কর্মী অরিজিৎবাবুর ভাড়া বাড়িতে যান। বহুবার বাড়ির বাইরের বেল বাজান৷ ডাকাডাকিও করেন৷ কিন্তু, ভিতর থেকে কোনও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় তাঁদের সন্দেহ হয়৷ এরপর ওই দুই কর্মী স্থানীয়দের বিষয়টি জানান৷
[তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ফের উত্তপ্ত গলসি, বোমার আঘাতে জখম অন্তত ১০]
স্থানীয়দের সাহায্যে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন৷ দেখেন, অরিজিৎবাবু খাটের উপর অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে জিরাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন৷ পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, অরিজিৎবাবু বাথরুমে কোনওভাবে পড়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় কোনওরকমে খাটে এসে শোয়ার পরই সংজ্ঞা হারান। এই ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বলাগড় থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷
[খবরের জের, ঘাটালে চোলাই তৈরির ‘স্বর্গরাজ্যে’ আবগারি দপ্তরের অভিযান]
তবে, খুন না নিছক দুর্ঘটনা, তা জানার কাজ শুরু করেছে পুলিশ৷ মৃতের ফোন খতিয়ে দেখারও কাজ চলছে৷ মৃত্যুর পিছনে পুরনো কোনও শত্রুতা জড়িয়ে কি না, তা জানার কাজও শুরু করেছে পুলিশ৷ মৃত্যুর নেপথ্যে কোনও সহকর্মীর হাত রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারি আধিকারিকরা৷ তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনে তাঁদের জেরা করা হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷ ইতিমধ্যেই মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার কাজও শুরু করেছে পুলিশ৷ তবে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ পুলিশ আধিকারিকরা৷
