সুব্রত যশ, আরামবাগ: তারকেশ্বর থেকে কামারপুকুর পর্যন্ত সিপিএমের পদযাত্রা দ্বিতীয় দিনে শেষ হল কামারপুকুরে এসে। প্রথম দিন তারকেশ্বর থেকে আরামবাগ পর্যন্ত যে পদযাত্রাটি হয়, তাতে উপস্থিত ছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। দ্বিতীয় দিনে আরামবাগ থেকে কামারপুকুর পর্যন্ত পদযাত্রায় অংশ নেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। দু’দিনে মোট ৪০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করেন কয়েক হাজার সিপিএম কর্মী, সমর্থক। এই পদযাত্রায় হাঁটতে দেখা যায় স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যুব ছাত্র, শ্রমিক এবং খেতমজুরদের। এই পদযাত্রায় মূল স্লোগান ছিল, ‘বিজেপি হটাও ও তৃণমূল হটাও’। আলুর ন্যায্য দাম, শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি– এরকম ১২টি দাবি নিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডের সমাবেশের সমর্থনে এই পদযাত্রা।
[ব্রিগেডে উপস্থিত নেতারা কংগ্রেসকেই সমর্থন করবে, তৃণমূলকে কটাক্ষ ওমপ্রকাশের]
পদযাত্রায় হাঁটতে হাঁটতে বিমান বসু বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের ব্রিগেডের মিটিং আমরা দেখেছি। এজেসি বোস রোড এবং ন্যাশনাল হাইওয়ের ধারে পিকনিকের মেজাজে ভাত মাংসর ঝোল রান্না করে খেয়েছে আর বাড়ি চলে গিয়েছে যে যার। এটা কি মিটিং হল? বিভিন্ন রাজ্য থেকে নেতা-মন্ত্রীদের নিয়ে এসে সভা করলেন। তাঁরা এখানে এক কথা বলে গেলেন, রাজ্যে ফিরে গিয়ে কিন্তু অন্য কথা বলছেন।” বামেদের ব্রিগেড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ফেব্রুয়ারি মাসের ৩ তারিখে ব্রিগেডে দেখতে পাবেন জনগণের সমাবেশ কাকে বলে।” গোঘাটের সিপিএম নেতা দেব চক্রবর্তী দাবি করেন, “আমাদের আজকের পদযাত্রায় মানুষ যাতে অংশগ্রহণ করতে না পারে সেই চেষ্টা করছে তৃণমূল। আমাদের পার্টি অফিসের সামনে ক্যাম্প করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পার্টি অফিসের তালা ভেঙে চাল ওরা চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। কীভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস, সেটা এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে। কোনওরকম রাজনৈতিক কর্মসূচি আমরা করতে পারছি না।”
[ব্রিগেডের সমালোচনায় সূর্যকান্ত, পালটা সমাবেশের প্রস্তুতি শুরু বামেদের]
অন্যদিকে, গোঘাটের তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদারের দাবি, ”এটা পুরোপুরি নাটক। সংবাদের শিরোনামে আসতে চাইছে সিপিএম। ওরা বলছে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মানুষ জানে আসল ঘটনা। ২০১১ সালের আগে ৩৪ বছরে কতশত মানুষের খুনে লাল হয়ে গিয়েছিল গোঘাটের রাস্তা। আমাদের সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই মানুষ তার গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেয়েছেন।”
