টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: রামনবমীকে কেন্দ্র করে দেশব্যপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল গেরুয়া শিবির। বাদ পরেনি বাঁকুড়া শহরও। এবার রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি বাঁকুড়ায় বলরাম পুজোর আয়োজন করল বিজেপি নেতৃত্ব। বুধবার বাঁকুড়ার তালডাংরা ও ইন্দপুরের ব্রাহ্মণডিহা এলাকায় বলরাম পুজোয় মাতলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই সাংবাদিক সম্মেলন করে বলরাম পুজোর আয়োজনের কথা ঘোষণা করেছিলেন বিজেপির কৃষাণ মোর্চার রাজ্য সভাপতি রামকৃষ্ণ পাল।
[আরও পড়ুন:চিকিৎসকের চেম্বারে ভাঙচুর, গণপিটুনিতে মৃত্যু মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের]
পরিকল্পনামাফিক বুধবার সকালেই বলরাম পুজোর উদ্বোধনের জন্য বাঁকুড়ায় পৌঁছে যান বিজেপির কৃষাণ মোর্চার রাজ্য সভাপতি রামকৃষ্ণ পাল। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যজুড়ে প্রায় ৫০টি জায়গায় বলরাম জয়ন্তী উপলক্ষে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। পুজোয় মেতে উঠেছেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। তবে বলরাম পুজোয় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন রামকৃষ্ণ পাল। তবে বিজেপির এই আয়োজনকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কৌশল বলেই দাবি করেছেন তৃণমূলের বাঁকুড়ার জেলা সভাপতি শুভাশিষ বটব্যাল এবং বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শ্যামল সাঁতরা। তাঁদের দাবি, বলরাম পুজোকে আঁকড়ে ধরে বাংলার রাজনীতির ময়দানে কৃষকদেরকে কাছে টানতে চাইছেন বিজেপির কৃষক মোর্চার নেতারা। যা ২০১৮ সাল থেকেই শুরু করেছে বিজেপি শিবির। তাঁদের কথায়, জন্মাষ্টমীতে মাইলেজ পেতে বলরামের অনুজ শ্রীকৃষ্ণকে নিয়ে একাধিক এলাকার বিজেপির নেতা-কর্মীরা মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন। এবার বলরাম পুজোতেও একইভাবে রাজনৈতিক মাইলেজ পেতে চাইছে বিজেপি, এমনটাই অভিযোগ তৃণমূল শিবিরের।
যদিও রামকৃষ্ণবাবুর দাবি, কৃষকদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ‘প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি’ প্রকল্প শুরু করেছে। যে প্রকল্পের মাধ্যমে বছরে ছয় হাজার টাকা পেতে পারেন কৃষকরা। তাঁর অভিযোগ, আয়ুষ্মান প্রকল্পের মতোই এই প্রকল্প থেকেও কৃষকদের বঞ্চিত করেছে রাজ্য সরকার। পুজোর দিন গোটা বিষয়টি কৃষকদের সামনে তুলে ধরার কথা পরিকল্পনা করেই এই আয়োজন বলে জানান তিনি।
[আরও পড়ুন:মুড়ি-পিঁয়াজ থেকে ডিম-ভাত, প্রশাসনের উদ্যোগে রাতারাতি মিড ডে মিলের মেনুতে বদল]
The post রামের পর বাঁকুড়ায় বলরাম পুজোর আয়োজন বিজেপির, পালটা খোঁচা তৃণমূলের appeared first on Sangbad Pratidin.
