সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অর্জুন সিংয়ের গড়ে বড়সড় থাবা বসাল তৃণমূল কংগ্রেস। অর্জুনের ভগ্নীপতি সুনীল সিংয়ের খাসতালুক গারুলিয়া পুরসভা পুনর্দখল করল শাসকদল। বিজেপিতে যোগ দেওয়া পাঁচ কাউন্সিলর তৃণমূলে ফেরায় ফের শাসকদলের হাতে চলে এল হাতছাড়া হওয়া পুরসভা। সোমবারই গারুলিয়া পুরসভায় আস্থাভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তাঁর আগেই পদত্যাগ করেন পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল সিং। খানিকটা বিনা যুদ্ধে জমি ছেড়ে দেওয়ার মতোই অবস্থা হয় তাঁর। এদিন তিনি স্বীকারও করে নেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকার ফলেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত। যদিও, মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন সুনীল।
[আরও পড়ুন: আরও সুগম জোটের রাস্তা, গান্ধীজয়ন্তীর আগে প্রদেশ কংগ্রেস দপ্তরে বাম-নেতৃত্ব ]
অর্জুন সিং বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তাঁর এলাকার একের পর এক পুরসভা বিজেপির দখলে চলে যায়। তবে, শাসকদল একে একে অধিকাংশ পুরসভাই পুনর্দখল করেছে। কিছুদিন আগেই গারুলিয়া পুরসভার দলত্যাগী পাঁচ কাউন্সিলর তৃণমূলে ফিরে আসেন। ২১ আসন বিশিষ্ট গারুলিয়া পুরসভায় ১৩ আসন নিয়ে ফের সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যায় তৃণমূল। অন্যদিকে, বিজেপির দখলে রয়েছে ৭ জন কাউন্সিলর। একজন কাউন্সিলর ফরওয়ার্ড ব্লকের। সংখ্যাগরিষ্ঠতার বলে পুরপ্রধান সুনীল সিংয়ের পদত্যাগ দাবি করে শাসকদল। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। সোমবার, সেই অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটির আগেই পদ ছাড়েন সুনীল।
[আরও পড়ুন: নারদকাণ্ড: এসএমএইচ মির্জাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের]
লোকসভা নির্বাচনের আগে আগেই দিল্লিতে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে শামিল হন সুনীল সিং। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন নোয়াপাড়া পুরসভার ১১ জন কাউন্সিলর। ১০ জন তৃণমূলের এবং ১ জন কংগ্রেসের। সুনীল সিংকে নিয়ে গারুলিয়া পুরসভায় বিজেপির মোট শক্তি দাঁড়ায় ১২। পুরসভাটি হাতবদল হয়ে যায়। এরপরও অবশ্য, তৃণমূলে থেকে যান জনা আষ্টেক কাউন্সিলর। কিছুদিন বাদে ফের গারুলিয়ায় থাবা বসায় শাসকদল। ৫ জন কাউন্সিলর ফিরে আসেন তৃণমূলেই। ফলে, তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৩। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় আবারও তৃণমূলের দখলে চলে এল এই পুরসভাটি। যা বারাকপুরের বিধায়ক অর্জুন সিংয়ের জন্য নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা।
The post ভোটাভুটির আগেই পদত্যাগ সুনীল সিংয়ের, গারুলিয়া পুরসভা হাতছাড়া বিজেপির appeared first on Sangbad Pratidin.
