সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে পৌঁছলেন বিজেপির প্রতিনিধি দল। তবে ঘটনাস্থলের বেশ কিছুটা দূরে ব্যারিকেড করে শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপির অন্যান্য নেতাদের আটকে দেন পুলিশ আধিকারিকরা। সেখান থেকেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন শুভেন্দু। দাবি জানালেন এনআইএ, সিবিআই তদন্তের।
বুধবার সকালে কলকাতা থেকে রামপুরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা হয় বিজেপির প্রতিনিধিদল। তাঁদের মধ্যে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), অর্জুন সিং-সহ অন্যান্যরা। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ রামপুরহাট পৌঁছন তাঁরা। তবে বগটুইয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর বেশ কিছুটা আগেই পুলিশ ব্যরিকেড করে তাঁদের আটকে দেয়। তার জেরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপির প্রতিনিধিরা। এরপর হেঁটে গ্রামে ঢোকেন তাঁরা। সেখান থেকে রাজ্যের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
[আরও পড়ুন: রামপুরহাট যাওয়ার পথে শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকানে দাঁড়াল বিজেপির বাস! তীব্র কটাক্ষ মমতার]
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বিজেপিকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে বিভিন্নভাবে। রাস্তায় ট্রাক ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘুরে ঘুরে গ্রামে আসতে হল। মুখ্যমন্ত্রী কোনও পদক্ষেপ করেননি। আগামিকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রামপুরহাটে আসবেন প্রমাণ লোপাট করতে। আমরা সিবিআই, এনআইএ তদন্ত চাই। ন্যায় বিচার না হওয়া পর্যন্ত ছাড়ব না।” এদিন গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। এদিন সংসদের বাইরেও বগটুইয়ের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির সাংসদরা। সংসদে এই বিষয়টি তোলেন রাজ্য বিজেপির সভাপিতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে রামপুরহাটে (Rampurhat Clash) বোমা মেরে খুন করা হয় তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখকে। এর পরই সেই রাতে বগটুই গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। যেখানে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রশাসনের দাবি। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই পদক্ষেপ করে রাজ্য। গঠন করা হয় সিট। মঙ্গলবারই কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ক্লোজ করা হয় রামপুরহাট থানার ওসি, আইসিকে। অপসারিত হন এসডিপিও। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২২ জনকে। তাদের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে বুধবার সাসপেন্ড করা হয়েছে রামপুরহাটের গোয়েন্দা প্রধান ও ১২জন সিভিক ভলান্টিয়ার।