সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: CAA বিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে গিয়ে শালীনতার মাত্রা ছাড়ালেন বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। নাম না করেই মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যও করলেন তিনি। সাংসদের এহেন মন্তব্যে অস্বস্তিতে দল।
নাগরিত্ব আইন(CAA) বিরোধী আন্দোলনে কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত গোটা রাজ্য। রবিবার ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের কোটাসুর গ্রামের একটি বিজেপির কার্যালয়ে। বুধবার সেই এলাকা পরিদর্শনে যান বিজেপির দুই সাংসদ সুভাষ সরকার ও জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। সেখান থেকে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনকারীদের আক্রমণ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে সায় দিয়ে সুভাষ সরকার বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন CAA আইনের বিরোধিতা করার জন্য, সেই ডাকে কারা সাড়া দিয়েছেন? তাদের পোশাক কী ছিল? পোশাক দেখেই বুঝতে পারা যাচ্ছে এই আন্দোলনে কারা ওনার সঙ্গী। কোনও সাধারণ মানুষ নেই।’ CAA বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সাংসদ। নাম না করেই মুখ্যমন্ত্রীকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন সুভাষ সরকার। বলেন, “অনুপ্রবেশকারীরা ট্রেন ভাঙছে, পুলিশ মারছে, আরপিএফ মারছে। পুলিশের বন্দুকে উনি কী লাগিয়ে রেখেছেন? পুলিশের বন্দুকে কি উনি কন্ডোম পরিয়ে রেখেছিলেন?’
[আরও পড়ুন: পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগে ধৃত ৬, এখনও থমথমে সাঁকরাইল]
মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে গিয়ে বিজেপি সাংসদের এহেন ভাষা প্রয়োগকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। নিন্দার ঝড় বইছে সবমহলে। অনেকেরই প্রশ্ন, পেশায় চিকিৎসক এক মানুষ কীভাবে এমন আচরণ করতে পারেন? বিজেপি সাংসদের আচরণে মর্মাহত তাঁর অনুগামীরাও। প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হওয়ার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করে রাজ্যবাসীর একাংশ। জেলায় জেলায় চড়তে থাকে উত্তেজনার পারদ। একাধিক জায়গায় বিজেপির কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় আন্দোলনকারীরা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ট্রেন, বাস। আইনের বিরোধিতায় পথে নামেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। যদিও বরাবরই শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনের কথাই বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
The post ‘পুলিশের বন্দুকে কন্ডোম পরিয়ে রেখেছেন’, নাম না করে মমতাকে কটাক্ষ বিজেপি সাংসদের appeared first on Sangbad Pratidin.
