সন্দীপ মজুমদার, উলুবেড়িয়া: ফের বাজি তৈরি করতে গিয়ে বিস্ফোরণ। এবার উলুবেড়িয়ায়। নিজের বাড়িতে বাজি তৈরি করতে গিয়ে বিস্ফোরণে আহত হলেন এক ব্যক্তি। আহত ব্যক্তির নাম প্রবীর মেউর (৫২)। মঙ্গলবার রাত আটটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়া থানার বাজারপাড়া এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন রাত আটটা নাগাদ হঠাৎই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে বাজারপাড়া এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দারা সেই শব্দ শুনে প্রবীরবাবুর বাড়িতে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা প্রবীরবাবুকে ঘরের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তখন নিজের ঘরেই তিনি বাজি তৈরি করছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
[হাঁটতে বেরিয়ে ২২০ টাকায় চপ কিনে রসনাতৃপ্তি মুখ্যমন্ত্রীর]
স্থানীয় বাসিন্দারা তৎক্ষণাৎ তাঁকে উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করেন। প্রবীরবাবু আমতা থানার নারিট গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন৷ তবে প্রায় ১৮ বছর যাবৎ তিনি উলুবেড়িয়ার বাজারপাড়া এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে একাই বসবাস করতেন, দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁর পারিবার সূত্রে জানা গিয়েছে তিনি কালীপুজোর জন্য রংমশাল তৈরি করছিলেন। অসাবধানবশত সেই বাজির মশলায় আগুন পড়ে এই বিপত্তি ঘটে। বিস্ফোরণের মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে তাঁর শরীরের একাধিক জায়গায় গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয় এবং শরীর থেকে প্রচুর রক্তপাত হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তাঁর শরীর থেকে কয়েকটি বোমার স্প্লিন্টার জাতীয় জিনিস পাওয়া গিয়েছে।
[নগ্ন ছবি ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে প্রেমিকাকেই ধর্ষণ!]
ঘটনার পরেই উলুবেড়িয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক-সহ বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তাঁরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন। তদন্তের স্বার্থে ওই ঘরে থাকা বাজি তৈরির সমস্ত সরঞ্জাম পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। পুলিশ জানিয়েছে ওই ঘরে সত্যি সত্যি আতসবাজি তৈরি হচ্ছিল নাকি অন্য কোনও ধরনের বিস্ফোরক জাতীয় কিছু ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া জনবহুল এলাকায় বাজি তৈরির অনুমতিও ছিল না বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে। এমনকি যেখানে বাজি তৈরি হচ্ছিল ওই জায়গার অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে, আদৌ দূষণ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা ছিল কিনা তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।
The post উলুবেড়িয়ায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, আশঙ্কাজনক ব্যবসায়ী appeared first on Sangbad Pratidin.
