শেখর চন্দ্র, আসানসোল: রেলের ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের জমি দখল হয়ে আছে বলে অভিযোগ। সোমবার সেখান থেকে জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করতে গেলে বাধার মুখে পড়তে হল রেল পুলিশকে। ঘটনাস্থলে বিজেপি বিধায়ক গেলে তাঁর উদ্দেশে 'গো ব্যাক' স্লোগান দেওয়া হয়। অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকে। আসানসোলের কুলটির বরাকরে এই ঘটনায় প্রবল উত্তেজনা ছড়ায়।
জানা গিয়েছে, সোমবার রেল পুলিশ বলতোড়িয়া এলাকায় দখলদার উচ্ছেদ অভিযানে গিয়েছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কুলটি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব, কর্মী-সমর্থকরাও যান। আসানসোল পৌরনিগমের মেয়র পারিষদ সদস্য, তৃণমূল নেত্রী ইন্দ্রাণী মিশ্র জানান, প্রায় দু'হাজার বাসিন্দা সেখানে আছেন। তাঁরা রেলের জমিতে ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে রয়েছেন। বিনা নোটিসে তাঁদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, পুনর্বাসন না দিলে রেল এইসব বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করতে পারবে না।
অন্যদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কুলটি বিজেপি বিধায়ক অজয় পোদ্দার। অভিযোগ, বিজেপি বিধায়ককে দেখেই 'গো ব্যাক' স্লোগান দেন তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকরা। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি কর্মী-সমর্থকরাও সেখানে হাজির হন। তৃণমূল-বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয় বিবাদ। স্লোগান-পালটা স্লোগান চলতে থাকে। ঘটনায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় ওই এলাকায়। বিশাল সংখ্যায় আরপিএফ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দু'পক্ষকেই ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
বিজেপি বিধায়ক অজয় পোদ্দারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে রেলের নটি জায়গায় বিভিন্ন প্রকল্প জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আটকে আছে। বাধা দিচ্ছে তৃণমূল, এখানেও তাই। তিনি আরও বলেন, "রেল যা করছে, নিয়ম মেনে করছে। ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর হবেই। পুনর্বাসন রাজ্য সরকারকে দিতে হবে। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে পুনর্বাসন নিয়ে চিঠি দেব।" গো ব্যাক স্লোগান নিয়ে বিজেপি বিধায়কের দাবি, এটা তৃণমূলের সংস্কৃতি। তৃণমূল ও বিজেপি নেতৃত্ব আসানসোল রেল ডিভিশনের ডিআরএমের সঙ্গে এদিন ফোনে কথা বলেন। জবরদখলকারীদের সেখান থেকে সরে যেতে আরও কিছুটা সময় দেওয়া হল। উচ্ছেদ অভিযান আপাতত স্থগিত রাখা হল। এমনই জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।