অর্ণব দাস, বারাকপুর: ইএসআই হাসপাতালের কর্মীর রহস্যমৃত্যু। ৪ দিন নিখোঁজ থাকার পর সোমবার কামারহাটির ইএসআই হাসপাতালের কর্মী বিপ্লব বোসের দেহ মিলল হাওড়ার গোলাবাড়ি এলাকায়। খুন নাকি আত্মহত্যা? তা নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য। যদিও বিপ্লব বোসের পরিবারের তরফ থেকে মৃতের স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, বিপ্লবের মৃত্যুর নেপথ্যে তাঁর স্ত্রী।
বিষয়টা ঠিক কি? কেন খুনের অভিযোগ? জানা গিয়েছে, ১০ বছর আগে মৃত বিপ্লব বোসের সঙ্গে বিয়ে হয় রাজারহাটের বাসিন্দা চৈতালী ভট্টাচার্যের। বাড়ির অমতেই মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেন যুগল। তাঁদের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই বিপ্লবের উপর অত্যাচার করত তাঁর স্ত্রী। মৃতের পরিবারের দাবি, চৈতালী ইদানিং পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিল। এই নিয়ে দম্পতির মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত।
[আরও পড়ুন: ভাঙড়ে ফের অশান্তি, এবার পারিবারিক বিবাদে ৫ জনকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা, চলল পালটা হামলাও]
পরিবার সূত্রে খবর, হাসপাতালের কোয়ার্টারেই থাকতেন বিপ্লব। স্ত্রীর ব্যবহারের কারণেই নাকি বাড়িতে যেতে পারতেন না তিনি। আগেও নাকি বিপ্লব বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রীর অত্যাচারে। জানা গিয়েছে, গত চারদিন আগে বিপ্লব হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যান। অভিযোগ, অবস্থা বেগতিক বুঝে তাঁর স্ত্রীও ঘরের সবকিছু নিয়ে তাঁর বাপের বাড়িতে পালিয়ে যায়। গত ২১ তারিখ বিপ্লব বোসের মা বেলঘরিয়া থানায় মিসিং ডাইরি করে। অবশেষে বিপ্লবের ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে হাওড়া থেকে বিপ্লবের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরই কামারহাটি থানার পুলিশ মৃতদেহ নিয়ে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কামারহাটি থানার পুলিশ।
