shono
Advertisement

Breaking News

ওষুধ আনতে বেরিয়ে রাতভর নিখোঁজ আদিবাসী মহিলা, সকালে মিলল রক্তাক্ত দেহ, ঘনাচ্ছে রহস্য

ঘটনার পিছনে কে বা কারা?
Posted: 11:00 AM Aug 09, 2023Updated: 11:00 AM Aug 09, 2023

ধীমান রায়, আউশগ্রাম: নখকুনির যন্ত্রণার জন্য গ্রামের এক চিকিৎসকের কাছে ওষুধ আনতে গিয়েছিলেন জনমজুর মহিলা। দীর্ঘক্ষণ নিখোঁজ থাকার পর বুধবার সকালে উদ্ধার হল রক্তাক্ত দেহ। এদিন সকালে বাড়ি থেকে বেশকিছুটা দূরে দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত মহিলার নাম সুমি সোরেন(৪৫)। সোমাইপুর গ্রামের লাইকিংপাড়ার বাসিন্দা তিনি।
স্বামী জামরু সোরেন প্রায় সাতবছর আগে মারা যান। বাড়িতে রয়েছেন এক ছেলে ও পুত্রবধূ। তিনজনই জনমজুর। মৃতার পুত্রবধূ রুবিনী সোরেন জানান, মঙ্গলবার সন্ধেয় তাঁর শাশুড়ি নখকুনির যন্ত্রণার কারণে গ্রামেরই এক চিকিৎসকের কাছে ওষুধ আনতে গিয়েছিলেন। তারপর থেকে বাড়ি ফিরে আসেননি। অনেক রাত পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি চলে। ছেলে মিঠুন বলেন, “মা বাড়ি ফিরে আসছে না দেখে আমি পাড়াপ্রতিবেশীদের বলি। রাত প্রায় সাড়ে বারোটা পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করি। বাড়িতে দুটো বাচ্ছা থাকায় রাতে বের হতে পারিনি। এদিন সকালে খবর পাই মাকে কেউ খুন করে দিয়েছে।”

[আরও পড়ুন: ‘মদ্যপ’ রেলচালকের ‘কীর্তি’তে ৪০ মিনিট দাঁড়িয়ে হাওড়া-জয়নগর আপ ট্রেন, ক্ষুব্ধ যাত্রীরা]

মিঠুন বলেন, “মায়ের সঙ্গে কারও ঝামেলা হয়নি। কোনও শত্রু ছিল না। কে বা কারা এই কাজ করতে পারে বলতে পারব না।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে কয়েকজন গ্রামবাসী মাঠের আল রাস্তা ধরে কাজ করতে যাচ্ছিলেন। তখন আলের উপর সুমির দেহ পড়ে থাকতে দেখতে পান। দেহের পাশেই পড়ে ছিল ছাতা ও টর্চ। মাথার ডান দিকে কানের কাছে রক্ত ও আঘাতের চিহ্ন। আলের উপর পড়ে চাপ চাপ রক্ত। দেহ দেখতে পেয়েই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

[আরও পড়ুন: বর্ষায় বেড়েই চলেছে সাপের উপদ্রব, ফের জলপাইগুড়ির স্কুলে ঢুকল বিষধর, হানা হাসপাতালেও]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement